বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Visva Bharati University: বেতন বাড়ানোর আবেদনের পরেই অস্থায়ী কর্মীকে ছেঁটে ফেলল বিশ্বভারতী

Visva Bharati University: বেতন বাড়ানোর আবেদনের পরেই অস্থায়ী কর্মীকে ছেঁটে ফেলল বিশ্বভারতী

বিশ্বভারতীর মহিলা কর্মীকে বরখাস্ত।

ওই মহিলা কর্মচারীর নাম শ্রাবন্তী মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি ২০১৩ সাল থেকে ওই বিভাগে কাজ করছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তিনি বেতন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানায় এই কাজের জন্য আর তাঁকে কোনও প্রয়োজন নেই।

বেতন বাড়ানোর আবেদন জানানোর পরেই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অস্থায়ী মহিলা কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। যা নিয়ে ফের বিতর্কে জড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কোনও কারণ ছাড়াই কেন ওই মহিলা কর্মচারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ার দিয়েছে শিক্ষক সংগঠন। উল্লেখ্য, ওই মহিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা ভবনে ডকুমেন্টেশন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরত। সেখানে তিনি অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন।

আরও পড়ুন: খুব স্বস্তির বিষয় রবীন্দ্রনাথ আজ আর নেই-ফের বিতর্কিত মন্তব্য বিশ্বভারতীর VC-র

ওই মহিলা কর্মচারীর নাম শ্রাবন্তী মুখোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, তিনি ২০১৩ সাল থেকে ওই বিভাগে কাজ করছেন। সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তিনি বেতন বাড়ানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁকে চিঠি দিয়ে জানায় এই কাজের জন্য আর তাঁকে কোনও প্রয়োজন নেই। এর জন্য তাঁকে এক মাসের অগ্রিম টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। জানা গিয়েছে, একইভাবে ২০২০ সালে তাঁকে চাকরি থেকে বসিয়েছিল দিয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে হিসেবে গরমিল সংক্রান্ত অভিযোগ তোলা হয়েছিল। সেই ঘটনায় শ্রাবন্তী আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কিন্তু তখন শ্রাবন্তীর বিরুদ্ধে বিশ্ব বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনও প্রমাণ দিতে না পারায় আদালত শ্রাবন্তীকে চাকরিতে বহাল করার নির্দেশ দিয়েছিল। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জরিমানা করেছিল আদালত। তাছাড়া, শ্রাবন্তী যতদিন কাজ করতে পারেননি সেই দরুন আদালত তাঁকে পারিশ্রমিক প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।

সেই বিষয়টা মিটে যাওয়ার পর অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়ার হার নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শ্রাবন্তী। সেই মামলায় তাঁর দাবি ছিল, বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীদের সপ্তম পে কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বেতন দিতে হবে। পরে কলকাতা হাইকোর্ট শ্রাবন্তীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে আবেদন করতে বলে এবং আইন মোতাবেক আদালতের রায়ের এক মাসের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলে। শ্রাবন্তীর দাবি, তিনি বেতন বৃদ্ধির জন্য আবেদন জানানোর কারণেই কর্মীর পদ থেকে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে সরব হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন ভিবিইউএফএ। তাদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত প্রতিহিংসা মূল ক আচরণ ছাড়া আর কিছু নয়। তাছাড়া এই পদক্ষেপকে আদালত অবমাননা মনে হলেও মনে করছে এই সংগঠন।  শ্রাবন্তীও একই অভিযোগ করেছেন। তাঁর অভিযোগ, প্রতিহিংসার কারণেই তাঁকে কোনওরকম কারণ ছাড়াই চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি এর প্রতিবাদে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। 

বন্ধ করুন