রবিবার দুপুরে শেষ ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছিল। দীর্ঘক্ষণ ধরে মায়ের কথা - বাড়ির খবর জানতে চেয়েছিলেন শুকুর আলি শেখ। রবিবার রাতেই তাকে আল কায়দা জঙ্গিযোগে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের STF. কিন্তু ছেলে কোনও দোষ করেছে বলে মানতে নারাজ ধৃতের মা ডালিয়া শেখ। তাঁর দাবি, ছেলে সারাদিন কুর আর শরিফ আর নমাজ নিয়ে থাকত। ওকে ফাঁসানো হয়েছে।
আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে সোমবার গুজরাতের রাজকোট থেকে ৩ বাঙালি যুবককে গ্রেফতার করে গুজরাত পুলিশের STF. ধৃতদের মধ্যে শুকুর আলি শেখ নামে এক যুবকের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানা এলাকার ঘোলা গ্রামে। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, গোটা পরিবার দিশাহারা। ১৯ বছরের ছেলের বিরুদ্ধে এই রকম গুরুতর অভিযোগ, ভাবতে পারছেন না তাঁরা। ছেলের পরিণতি ভেবে অবিরাম কেঁদেই চলেছেন মা।
সাংবাদিকদের সামনে চোখের জল সামলে ধৃত আল কায়দা জঙ্গি শুকুর আলি শেখের মা বলেন, ‘আমার ছেলে কালীপুজোর পরে রাজকোটে কাজ করতে গিয়েছিল। তার পর থেকে আর ফেরেনি। ওর সঙ্গে নিয়মিত ফোনে কথা হত। আগে ও সোনার কাজ করত। কিন্তু সোনার কাজ করলে পাপ হবে বলে জানিয়েছিলেন একজন ধর্মগুরু। তার পর ও সোনার কাজ ছেড়ে মুদিখানার দোকানে কাজ নেয়। ছেলে নমাজ আর কুর আন শরিফ নিয়ে থাকত। দিনে পাঁচ বার নমাজ পড়ত। ওখানে মনে হয় মানুষকে নমাজ পড়ায় উৎসাহিত করছিল, তাই ওকে ধরেছে। আমার ছেলের সঙ্গে এসবের যোগ নেই। আমার ছেলেকে ফাঁসানো হয়েছে।’