গত বছর দেখা গিয়েছিল কেউ শ্মশানে, কেউ আবার গাছতলায়, কেউ আবার নৌকাতেই নিভৃতবাসে কাটাচ্ছেন। বাড়িতে জায়গা না পাওয়ার জেরেই করোনা আক্রান্ত কয়েকজন এই পথ বেছে নিয়েছিলেন। এবারও অতিমারীর দ্বিতীয় ঢেউতে সেই মন খারাপের ছবি দেখতে হচ্ছে বাংলাকে। এই যেমন জলপাইগুড়ির পুরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ধনতলা। বাড়ির যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাড়িতে সন্তানসম্ভবা স্ত্রী, বয়স্ক বাবা, মা রয়েছেন। এদিকে আলাদা করে থাকার মতোও ঘরও নেই বাড়িতে। অগত্যা বাড়ির বাথরুমেই নিজেকে আইসোলেশনে রাখেন ওই যুবক। ওই একচিলতে শৌচাগারের মধ্যেই কোনওরকমে গুটিয়ে শুয়ে থাকতেন বাধ্য তিনি। আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগ এলাকায় কোনও সেফ হোম নেই। সেকারণেই পরিবারের সদস্যকে এভাবে থাকতে হচ্ছে।
ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত যুবক একটি বেসরকারি ঋণদানকারী সংস্থায় কাজ করেন। গত ৬ই মে তাঁর কোভিড পজিটিভ রিপোর্টের কথা জানতে পারে পরিবার। এদিকে চিকিৎসক বলেছেন আলাদা থাকতে। কিন্তু বাড়িতে আলাদা থাকার ঘর কোথায়? অগত্যা বাড়ির বাথরুমেই ঠাঁই হয় তাঁর। এরপর থেকে রাতদিন ওই শৌচাগারের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে দিন কাটছে তাঁর। পরিবাররে দাবি, ভাঙা ঘরে নিভৃতবাসে থাকার কোনও জায়গা নেই। বাধ্য হয়েই বাথরুমে থাকতে হচ্ছে। এদিকে সরকারিভাবেও কোনও ব্যবস্থা করা হয়নি বলে পরিবারের অভিযোগ। তবে ঘটনার কথা শুনে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন স্থানীয় কাউন্সিলর। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।