নর্দমা তৈরি নিয়ে প্রকাশ্যে চলে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বাগদা ব্লক অফিসের সামনে পূর্ত দফতরেরনর্দমা নির্মাণের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির বিরুদ্ধে। এমনকী, নির্মাণকারী সংস্থার কাছ থেকে টাকা চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও অঞ্চল সভাপতির মধ্যে গণ্ডোগোল বেঁধে যায়। পূর্ত দফতরের বরাতপ্রাপ্ত নির্মাণকারী সংস্থাকে বিভিন্নভাবে কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়ের বিরুদ্ধে। এমনকী, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের ভয় দেখানো ছাড়াও শ্রমিকদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ নির্মাণকারী সংস্থার। শুধু তাই নয়, অনৈতিকভাবে নির্দিষ্ট দায়িত্বের চেয়ে অন্য কাজ করাতে চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে অভিযোগ নির্মাণকারী সংস্থার।
মঙ্গলবার ওই নর্দমার কাজ শুরু করতেই অভিযোগ, গোপা রায়ের অনুগামীরা এক জায়গায় জমায়েত করছিলেন। অবশেষে ওই কন্ট্রাকটর বাগদা তৃণমূলের আঞ্চলিক সভাপতি ও যুব’র সভাপতির দ্বারস্থ হন। তাঁদের উপস্থিতিতে ফের কাজ শুরু করে ওই নির্মাণ সংস্থা।
কন্ট্রাক্টর শুভজিৎ ঘোষের অভিযোগ, কাজ শুরু করতে বারবার আমার কাছে কাজের শিডিউল চাওয়া হয়। আমি সেটা জমা দেওয়ার পরও পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি একাধিকবার তাঁর সঙ্গে দেখা করতে বলেন।
এই বিষয়ে বাগদা আঞ্চলিক তৃণমূল সভাপতি সনজিৎ সরদারের অভিযোগ, পরোক্ষভাবে ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কন্ট্রাক্টরের কাছ থেকে টাকা চেয়েছন।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ সমিতির সভাপতি গোপা রায় বলেন, ‘ কারোর কোনও ক্ষমতা নেই বলার যে, আমি কারোর কাছ থেকে অসৎ উপায়ে টাকা নিয়েছি। উনি প্রমাণ করে দেখাক যে, আমি তাঁর কাছ থেকে কোনও টাকা চেয়েছি।’
ওই নির্মাণকারী সংস্থাকে দেখা করার প্রসঙ্গে গোপাদেবী বলেন, ‘ কখনই আমি দেখা করতে বলিনি। আমি শুধু বলেছি যে, যাই শিডিউল থাকুক না কেন, সেই অনুযায়ী কাজ করতে।’
বাগদা বিজেপির ১ নম্বর মণ্ডল সভাপতি সুজয়কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘ আমাদের দলের স্পষ্ট বক্তব্য শিডিউল অনুয়ায়ী কাজ হোক। যদি অর্থনৈতিক লেনদেন হয়, সেক্ষেত্রে অন্যায়।’