পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে? এই নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল বাসন্তী। দু’দলের সংঘর্ষে মধ্য পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক মহিলার। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও দু’জন তৃণমূল কর্মীও। কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘিরে আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বাসন্তীর নেবুখালি সর্দারপাড়ায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে পথচারী ওই মহিলার। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাসন্তী থানার পুলিশ। মৃত মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আহত দুই তৃণমূল কর্মীকে হাসপাতলে ভরতি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই মহিলার নাম মানোয়ারা সর্দার (৪৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসন্তীর ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েত কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এই ঘটনাটি ঘটেছে। এদিন ইদ উপলক্ষ্যে বাড়ি ফিরছিলেন তৃণমূল কর্মী মঞ্জুর আলম ও নুরুল হাসান। ঘটনার সময় বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী আচমকাই মঞ্জুর ও নুরুলকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালায়। ঘটনার সময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন মানোয়ারা সর্দার। দুষ্কৃতীদের ছাড়ো গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়ে ওই মহিলার গায়ে লাগে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মানোয়ারা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।
পাশাপাশি গুলিবিদ্ধ হন মঞ্জুর ও নুরুলও। আহত হয়ে তারাও রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মী মঞ্জুরদের বাঁচাতে এলে তাঁদেরও বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতকারীরা বলে অভিযোগ। ঘটনার পর এলাকায় ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। নিহত ওই মহিলার দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের পাঠানোর পাশাপাশি আহত ২ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অবশ্য এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।