কিছুদিন আগে রাজ্যে এসে দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে তিনি আলাদা করে সোশ্যাল মিডিয়া সেলের সঙ্গে কথা বলেন। এতেই স্পষ্ট, লোকসভা ভোটে সোশ্যাল মিডিয়া সেলকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে চাইছে বিজেপি। অন্যদিন তৃণমূলও আইটি সেলকে শক্তিশালী করার জন্য ঘুটি সাজাচ্ছে। বড় টিম তৈরি করছে সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য। এর জন্য সদস্যপদ নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে সেই সদস্যপদ পেতে গেলে মানতে হবে বেশ কিছু শর্ত।
নিউজ ১৮ বাংলা প্রতিবেদন অনুযায়ী, জোড়াফুলের আইটি সেলে যোগ দিতে গেলে কোন শর্ত মানতে হচ্ছে? শুধু মিসড কল নয়, যিনি যোগ দেবেন তার অবশ্যই অন্তত চারটি সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকউন্ট থাকতে হবে। এছাড়া জানতে হবে রাজ্য সরকারের চালু করা বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প সম্পর্কে। তবেই মিলবে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেলের সদস্যপদ।
জানা গিয়েছে, সদস্যপদের জন্য আবেদন জমা পড়েছে কয়েক লক্ষ। সদস্যপদ দেওয়া হয়েছে আপাতত ১০ হাজার জনকে। ফ্যাক্ট চেকে গুরুত্ব বাড়ছে বলেই এই সদস্য নেওয়া হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।
পড়ুন। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে নাম থাকলে কি চাকরি বৈধ? বড় পর্যবেক্ষণ হাই কোর্টের
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই চালু করা হয়েছে, ‘জন কি বাত’ কর্মসূচি। নিয়মিত মোদি সরকারের ভ্রান্ত নীতি সোশাল মিডিয়ায় তুলে ধরার চেষ্টা করছে জোড়াফুল।
অনেক আগে থেকে বিজেপির আইটি সেল সক্রিয়। অমিত মালব্যের নেতৃত্বে নানা ইস্যুতে তাঁরা তাঁদের মত প্রকাশ করে থাকে। এর আগে তৃণমূল সেভাবে সংগঠিত উপায়ে এর বিরুদ্ধে লড়াই চালাচ্ছিল না। নেতা-নেত্রীরা ব্যক্তিগত ভাবে এর জবাব দিচ্ছিলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। এবার সগঠিত ভাবে মাছে নামছে তৃণমূল। আলাদ কমিটিও তৈরি করা হয়েছে।
তৃণমূল আইটি সেলের ইনচার্জ দেবাংশু ভট্টাচার্য সাংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘মিসড কল দিয়ে আমাদের সদস্যপদ দেওয়া হয় না। তাতে সংগঠন বা দলের সঙ্গে সেই ব্যক্তির আত্মিক সম্পর্ক তৈরি হয় না। আমরা দেখে নিতে হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ার চার প্ল্যাটফর্মে অ্যাকাউন্ট আছে কিনা। তার প্রেক্ষিতেই অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কয়েক লক্ষ আবেদন জমা পড়েছে। আপাতত প্রায় ১০ হাজার জনকে আমরা সদস্য করেছি। ধাপে ধাপে এই সদস্য সংখ্যা বাড়বে।’
লোকসভা ভোটে প্রচার যুদ্ধ শুধু দেওয়ালে পোস্টার কিংবা মিটিং মিছিলে নয়। জোরদার লড়াই হবে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।