রাজনীতিতে অবসরের বয়স থাকা উচিত। সোমবার আবার নবীন–প্রবীণ ইস্যু উসকে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বিষয়ে তাঁর মত, বয়স বাড়লে কর্মদক্ষতা এবং কর্মপরিধি কমতে থাকে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আবার নবীন–প্রবীণ ইস্যু ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ উসকে দেওয়ায় অনেকে নানা বিষয়ে আশঙ্কা করছেন। নতুন প্রজন্মকে সামনে নিয়ে আসার ব্যাপারে তিনি বেশি তৎপর। কিছুদিন আগেই এই নবীন–প্রবীণ ইস্যুতে দলের অন্দরে দুটি গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছিল।
এদিকে সেই ঘটনার পর আবার এই ইস্যুতে ইন্ধন দেওয়ায় দলের অন্দরে অনেকে এখন নতুন অঙ্ক দেখতে পাচ্ছেন। ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? নিজের বক্তব্যের সমর্থনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি কার্যক্ষমতার উপর দাঁড়িয়ে নিজের বক্তব্যকে সমর্থন করছি। এটা শুধুমাত্র রাজনীতিতে নয়, সব ক্ষেত্রেই তা রয়েছে। এখানে যে সমস্ত সাংবাদিকরা দাঁড়িয়ে আছেন তাঁদের বয়স কত? এই একই কাজ কি তাঁরা ৮০ বছর বয়সেও করতে পারবেন? বয়স বাড়লে কর্মক্ষমতা কমে।’ এই মন্তব্য নিয়ে এখন আর কোনও বিতর্ক তৈরি না হলেও আগে হয়েছে।
অন্যদিকে অভিষেক এই মন্তব্য করে কী বোঝাতে চাইছেন? এই প্রশ্ন এখন দলের অন্দরে অনেক নেতারই। যদিও কেউ এই নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছেন না। কারণ সামনে লোকসভা নির্বাচন। বিতর্ক তৈরি হলে নির্বাচনে প্রভাব পড়তে পারে। আগে এই নিয়ে বিতর্ক হওয়ায় গুজব ছড়ায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ডহারবার ছাড়া কোথাও যাবেন না। যদি সেই গুজব তিনি নিজেই ভাঙেন। তাঁর কথায়, ‘দল আমাকে যেখানে যেতে বলবে আমি যাব। আর যে সাংগঠনিক দায়িত্ব দেবেন সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তা পালন করব।’
আরও পড়ুন: ‘এটা তো বিজেপির তৈরি’, দুই বিচারপতির সংঘাত নিয়ে তোপ দাগলেন অভিষেক
কিন্তু দলে কাদের কে অবসর দিতে চান অভিষেক? এই প্রশ্নও ইএম বাইপাসের অফিসে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে। যদিও অভিষেক কারও নাম উচ্চারণ করেননি। তবে এই বয়সের ভারে কাজের দায়িত্ব নিতে সমর্থ নন এমন নেতাদের দিকেই ইঙ্গিত করেছেন তিনি বলে মনে করা হচ্ছে। লোকসভা নির্বাচনের টিকিট যাঁরা পাবেন তাঁদের দেখলেই বোঝা যাবে বিষয়টি কোনদিকে যাচ্ছে। তবে এখনই প্রবীণদের ছেঁটে ফেলে দেওয়া হবে না। সূত্রের খবর, প্রবীণ নেতাদের দলের সাংগঠনিক কাজে লাগাতে চান অভিষেক। আর নতুন প্রজন্মের নেতা–নেত্রীদের জনপ্রতিনিধি করতে চান।