নারদ মামলায় ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। সেটা অবশ্য মে মাসে। তখন উত্তেজিত তৃণমূল কংগ্রেস নেতা–কর্মীরা শান্তিকুঞ্জ ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর হুমকি দেয়। ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে। তখন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তবে আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন ওই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা।
শুভেন্দু অধিকারী জোড়াফুল ছেড়ে সিঙ্গল ফুলে যোগ দেন। তখন থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের দূরত্ব বেড়েছে। তবে এখনও শুভেন্দু অধিকারীর বাবা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। কিন্তু দলেরই নেতার বিরুদ্ধে দিব্যেন্দুর মামলা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের অন্দরেই। যা নিয়ে খানিকটা ব্যাকফুটেই আছে তমলুকের সাংসদ।
মামলা করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েনের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অধিকারী বাড়ি ঘেরাও করে ইট–পাটকেল ছুড়েছেন। ভাঙচুর করেছেন। তাই দিব্যেন্দু অধিকারী মামলা দায়ের করেছিলেন পুলিশের কাছে। তাই গত ৩০ জুলাই কাঁথি আদালতে জামিনও নেন প্রদীপবাবু।
এই বিষয়ে প্রদীপবাবু বলেন, ‘আদালতের নোটিশ হাতে পেয়েই জানতে পারলাম আমার বিরুদ্ধে শুভেন্দু অধিকারীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ রয়েছে। আমার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়েছে। অথচ, আমিই জানি না কবে বাড়ি ভাঙচুর করলাম! মিথ্যা মামলা করছেন। ওঁনার বাড়ি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে মোড়া। চারদিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো। সত্যতা প্রমাণিত হবে।’
কিন্তু যিনি মামলা করেছিলেন তিনি কী বলছেন? তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, অভিযোগের তারিখ তাঁর মনেই নেই! তবে অধিকারী বাড়ি ঘেরাও করার হুমকি দিয়েছিলেন। তখন অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর কথায়, ‘মনে হচ্ছে পুলিশ এতদিনে সক্রিয় হয়েছে।’ আর দলের নেতার বিরুদ্ধে মামলা করে ভুলে যাওয়া এককথায় বেনজির বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা।