ফের রাজ্য সরকারের নিশানা মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবার। দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানো হল শিশির অধিকারীকে। পর্ষদের নতুন চেয়ারম্যান হলেন অখিল গিরি। এর আগে এই পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন অখিল। বর্তমানে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় রয়েছেন কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারী। এই অপসারণের ব্যাপারে তাঁর মন্তব্য, ‘আমার কিছু জানা নেই। তাই প্রতিক্রিয়াও নেই।’ এই অপসারণ অধিকারী পরিবারের সঙ্গে রাজ্যের দূরত্ব বাড়ার ইঙ্গিত বলেই দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।
শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ত্যাগ করে বিজেপি–তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই রাজ্যের শাসকদল তথা রাজ্য সরকারের কোপে পড়েছে অধিকারী পরিবার। যদিও তৃণমূল তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই তাঁরা রয়েছেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন শিশির অধিকারী ও তাঁর দুই পুত্র দিব্যেন্দু ও সৌমেন্দু। কিছুদিন আগেই কাঁথি পুরসভার প্রশাসকের পদ থেকে সৌমেন্দু অধিকারীকে সরিয়ে দেয় রাজ্যের পুর দফতর। আর এর পর শিশির অধিকারীকে হারাতে হল দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ।
১ জানুয়ারি সৌমেন্দু দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে যোগ দিয়েছেন বিজেপি–তে। সেদিনই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের প্রবীণ সাংসদ শিশির অধিকারী। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পাবে। জবাব দেবেন মেদিনীপুরের মানুষ। আমি যখন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম, অবিভক্ত মেদিনীপুরে একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না। আমি যোগ দেওয়ার পর দলে দলে সকলে যোগ দিল। আর আমি এখন হলাম মীরজাফর! আমি হলাম বেইমান।’ আর এর পরেই শিশির অধিকারীর ডানা ছাঁটল রাজ্য।