দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে তৃণমূল কর্মীর হত্যা কেন্দ্র করে এলাকায় বিপুল উত্তেজনা ছড়াল। অভিযোগের তির এসইউসিআই-এর দিকে।
শুক্রবার কুলতলি থানার অন্তর্গত মৈপীঠে এলাকা দখলের লড়াইয়ের সংঘর্ষে গণপ্রহারে মারা গিয়েছেন যুব তৃণমূল কর্মী অশ্বিনী মান্না। ঘটনায় মারাত্মক জখম হয়েছেন আরও দুই জন।
স্থানীয়দের দাবি, মৈপীঠে বেশ কিছু দিন ধরেই যুব তৃণমূল বনাম এসইউসিআই যুব গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ বহাল রয়েছে। তারই জেরে শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই এলাকায় সমাবেশ করেন এসইউসিআই যুব গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাতে বাধা দেন যুব তৃণমূল কর্মীরা। এই নিয়ে বচসা বাধে যা পরে হাতাহাতিতে গড়ায়।
তৃণমূলের অভিযোগ, বাঁশ ও লাঠি নিয়ে তাঁদের উপরে চড়াও হন এসইউসিআই কর্মীরা। বেধড়ক মারধরে মাটিতে পড়ে গেলেও অশ্বিনী মান্নাকে রেহাই না বেপরোয়া বাঁশপেটা, লাথি ও ঘুষি বর্ষণ হতে থাকে। মার খেয়ে তাঁর নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। এক সময় তিনি নেতিয়ে পড়লে নিগ্রহকারীরা বিদায় নেয়।
ঘটনাস্থলে অশ্বিনী মারা যান বলে জানা গিয়েছে। তিনি ছাড়া আরও দুই যুব তৃণমূল কর্মীও গুরুতর জখম হয়েছেন। আহতদের হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজনের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছায় বিশাল পুলিশবাহিনী। সারারাত তারা এলাকায় টহল দিয়েছে। শনিবার সকাল থেকেও থমথমে রয়েছে মৈপীঠ, বসেছে পুলিশ পিকেট। যুব তৃণমূলের তরফে স্থানীয় এসইউসিআই যুব শাখার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।