দীর্ঘক্ষণ ট্রাক চালানোর ফলে ক্লান্তিতে অনেক সময় ভোরের দিকে চালকদের চোখ লেগে যায়। আর তার জেরে দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। সেই কারণে রাতে দুর্ঘটনা কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিল পুলিশ। ট্রাক চালকদের সজাগ রাখতে চা বিস্কুট খাওয়ানোর পরামর্শ দিলেন পুলিশকর্তারা। এর পাশাপাশি পুলিশের তরফে আরও একগুচ্ছ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে চালকদের তন্দ্রাচ্ছন্ন ভাব যেমন কাটবে তেমনি দুর্ঘটনাও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা মিশরে, একের পর এক ধাক্কা ২৯ টি গাড়ির, মৃত ৩২, আহত ৬৩
শনিবার ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরা টোল প্লাজার কাছে। তাতে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তাই পরেই রাজ্য ট্রাফিক পুলিশের এডিজি তরফে জেলার পুলিশ সুপারদের এ বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। এর পাশাপাশি গাড়ির বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণ করারও নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, রাস্তার প্রয়োজনীয় জায়গায় চেক পোস্ট তৈরি করতে হবে। সাধারণত শীতের সময় চালকদের চা দিয়ে রাত জাগানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে এবার শীতের আগেই এই ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে বিভিন্ন জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমাতে আরও বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার ডেবরা টোল-প্লাজার কাছে জাতীয় সড়কে ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫ ফুল চাষি সহ ৬ জনের। এছাড়া আহত হয়েছেন ৪ জন। জানা গিয়েছে, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার খড়গপুর লোকাল থানার বুড়ামালা এলাকা থেকে দেউলটির ফুল মার্কেটে ফুল নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ছোট গাড়িতে ফুল বোঝাই করা হচ্ছিল। সেই সময় পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি লরি ওই গাড়িকে ধাক্কা দেয়। এরপর সেখান থেকে চম্পট দেয় লরিটি। ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু। শনিবার সাত সকালে এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
এই ঘটনার পরেই পথ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে তৎপর হয়েছে রাজ্য ট্রাফিক পুলিশ। এক জেলার অফিসার জানান, মূলত অনেক ক্ষেত্রেই রাতে ট্রাক চালকদের চোখ ঘুমের কারণে বুজে যায়। রাতে দুর্ঘটনার মূল কারণ হল এটাই। ফলে ট্রাক চালকরা সজাগ থাকলে সে ক্ষেত্রে দুর্ঘটনা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে রাতে ট্রাক চালকদের থামিয়ে চা-বিস্কুট খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া জাতীয় সড়কের বিভিন্ন জায়গায় ট্রাক দাঁড় করিয়ে চালকদের চা খেতে দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি চালকদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও তিনি জানান।