রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার হার বৃদ্ধি পেয়েছে বলে অভিযোগ। আর তা কমাতে উদ্যোগ নিল পরিবহণ দফতর। যদিও শহর কলকাতায় পথ দুর্ঘটনার হার আগের তুলনায় অনেকটা কমেছে বলে পরিসংখ্যান রয়েছে। কিন্তু জেলায় এবং একাধিক কমিশনারেট এলাকায় পথ দুর্ঘটনার হার বাড়ছে। তাই দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকা চিহ্নিত করার কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজকে বলা হয ‘ব্ল্যাক স্পট সার্ভে’। এই স্পটগুলিতে পথ দুর্ঘটনার একটা ইতিহাস আছে। অর্থাৎ বারবার এখানেই পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাই ট্রাফিক ব্যবস্থাকে এখন ঢেলে সাজাতে সিসিটিভি ক্যামেরা, স্পিড ব্রেকার, ব্রেথ অ্যানালাইজার, সাইনেজ, গার্ড রেল এবং ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে যাবতীয় পরিকাঠামো বসবে। তার জন্য রাজ্য পুলিশকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল পরিবহণ দফতর।
এদিকে রাজ্য পুলিশের ডিজি’কে পথ নিরাপত্তায় সামগ্রী কেনার অর্থ বরাদ্দ করল পরিবহণ দফতর। এমনকী প্রায় ১০ কোটি টাকা পথ নিরাপত্তা খাতে অনুমোদন করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর আগেই রাজ্যের এই ব্ল্যাক স্পটগুলিতে ট্রাফিক ব্যবস্থা কাজ করতে শুরু করবে। এই বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’ স্লোগানকে সামনে রেখেই এই কাজ করা হচ্ছে। রাজ্যে পথ দুর্ঘটনার হার কমানোই মূল লক্ষ্য। তাই পরিবহণ দফতর পুলিশকে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করবে।’
কত টাকা দেওয়া হচ্ছে? রাজ্য পুলিশকে মোট ৯ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে যাতে অত্যাধুনিক যন্ত্র কিনতে পারে। এই বিষয়ে পরিবহণমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশবান্ধব যানবাহনের মাধ্যমে পরিকাঠামো গড়ার কাজ চলছে। তবে যাত্রীদের নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছে দিতেই বাড়তি অগ্রাধিকার দিচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। আগে পথ নিরাপত্তা নিয়ে কমিটি জেলাস্তরে সীমিত থাকত। আমরা ব্লক স্তর পর্যন্ত গড়েছি। যাতে স্থানীয়স্তর পর্যন্ত নিরাপত্তা গড়ে ওঠে। পুলিশ–প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে পদক্ষেপ করা যাবে।’
আরও পড়ুন: মমতা–অভিষেকের নয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেল, এখন থেকে এখানেই মিলবে বার্তা
আর কী জানা যাচ্ছে? রাতের দিকে পথ দুর্ঘটনা বেশি ঘটছে। মন্ত্রীর কথায়, ‘ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কলকাতায় আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। যার জন্য দেশের অন্যান্য শহরের তুলনায় কলকাতায় পথ দুর্ঘটনার হার অনেক কম।’ তবে জেলা এবং শহরতলিতে এখনও পথ দুর্ঘটনা ঠেকাতে আরও অনেক কাজ করা দরকার। আর তাই রাজ্য সরকার এই আর্থিক বরাদ্দ করেছে। যাতে অত্যাধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় রাজ্যের সর্বত্র।