ফোনটা রাতে বেজে উঠেছিল। রাতটা একটু বেশি। সেই ফোন পাওয়ার পর বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন আদিবাসী গৃহবধূ। আর ফেরেননি। বিস্তর খুঁজেও তাঁর হদিশ মিলছিল না। বেশ কিছুক্ষণ পর মিলল তাঁর অর্ধনগ্ন দেহ। আদিবাসী গৃহবধূকে কী গণধর্ষণ করে খুন করা হল? প্রশ্ন উঠতেই শিউরে উঠল নদিয়ার তেহট্টের বেতাই নফরচন্দ্রপুর। কারণ জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মহিলার অর্ধনগ্ন ঝুলন্ত দেহ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই আদিবাসী গৃহবধূর স্বামী কর্মসূত্রে মালয়েশিয়ায় থাকেন। আর তাঁর ছেলেও কর্মসূত্রে বাইরে থাকেন। আর এই গৃহবধূ গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন। পাড়া–পড়শিদের সঙ্গে তাঁর পরিচয়ও ছিল। কিন্তু মাঝরাতে কার ফোনে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়ে ছিলেন তা এখনও জানা যায়নি। পুলিশ বিষয়টির তদন্ত করছে।
এই ফোনের বিষয়টি কিভাবে জানা গেল? সম্প্রতি বাইরে থেকে ওই গৃহবধূর ছেলে নদিয়ায় আসেন। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার মাঝরাতে তাঁর মায়ের কাছে একটি ফোন আসে। আর সেই ফোন পাওয়ার পরই বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন তিনি। আর রাতে বাড়ি ফেরেননি। সকালেও না আসায় স্থানীয়দের বিষয়টি জানানো হয়। তখন থেকেই চলে খোঁজাখুঁজি। তারপর অর্ধনগ্ন দেহ প্রকাশ্যে আসে।
শুক্রবার স্থানীয়রা খোঁজাখুজি করতে গিয়ে জঙ্গলে পৌঁছন। সেখানে দেখতে পাওয়া যায় ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। গলায় শাড়ির ফাঁস লাগানো ছিল। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তারা। পুলিশ সূত্রে খবর, এটা গণধর্ষণ করে খুন হতে পারে। আবার আত্মহত্যাও হতে পারে। এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে ফোনের কলরেকর্ড পরীক্ষা করে দেখা হবে।