পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বত্রই তৃণমূলের জয় জয়কার। পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণা হতেই কার্যত সবুজ আবিরে ভেসেছে গ্রাম বাংলার বহু পঞ্চায়েত এলাকা। তবে তৃণমূল পঞ্চায়েতে ভালো ফল করলেও শাসক দলের তরফে এখনই বিজয় উৎসব পালনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অথচ সেই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রীতিমত চটুল নাচে বিজয় উৎসব পালন করা হল আমডাঙার শশিপুর গ্রামে। আর সেই চটুল নাচ উপভোগ করলেন গ্রামের ৮ থেকে ৮০ সকলেই। ওই অনুষ্ঠানে তৃতীয় লিঙ্গের নর্তকীদের অশ্লীল অঙ্গীভঙ্গিতে নাচতে দেখা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই নাচের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায় সর্বত্রই। এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী গ্রামে সবজি বিক্রি করছেন, পেশা বদলাতে নারাজ গৌরাঙ্গ
জানা গিয়েছে, এলাকার জয়ী তৃণমূল নেত্রীর তরফে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। এলাকার কচিকাঁচা থেকে বৃদ্ধ সকলেই সেই নাচ দেখতে ভিড় জমান। বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে পাঁচিল সব জায়গাতেই ভিড় জমেছিল তরুণ তরুণীদের। তালস্বরে সাউন্ড সিস্টেম বাজিয়ে একের পর এক চটুল হিন্দি গান বাজানো হয়। আর তাতে দেখা যায় আমডাঙার শশিপুর গ্রামের শাসকদলের কর্মী সমর্থকরা উদ্দাম নাচছেন এবং আবির খেলছেন। এরপরে দেখা যায় চটুল গানে কোমর দুলিয়ে অশ্লীল অঙ্গিভঙ্গিতে নাচছেন দুই তৃতীয় লিঙ্গের নর্তকী।
জানা গিয়েছে, এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতের ৭৫৭ নম্বর বুথের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী আজমিরা খাতুন। ভোটে জেতার পরেই এলাকাবাসীদের মনোরঞ্জনের ব্যবস্থা করার জন্য তিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। এ নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই আজমিরা জানান, এলাকার কর্মীদের আবেদন মেনেই তিনি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘প্রত্যেক দিন তো আর এসব হয় না।’ এই নিয়ে শাসন দলকে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল কংগ্রেস অপসংস্কৃতির ধারাকে বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটাই তৃণমূলের সংস্কৃতি। মাত্র ১৯৯ ভোটে জয়ী হয়েছেন ওই তৃণমূল প্রার্থী। প্রসঙ্গত, এই প্রথম সেখানে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। চণ্ডীগড় পঞ্চায়েতে মোট ২৫ টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ২৪টি আসন এবং একটি আসন পেয়েছে বামেরা। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এভাবে দলীয় নির্দেশ অমান্য করে বিজয় উৎসব করায় দল নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে কি না সে দিকেই সকলে তাকিয়ে রয়েছেন।