সম্প্রতি তিন পড়ুয়াকে তিন বছরের জন্য বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। এই ঘটনার পরই বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। ৩৬ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে। শুক্রবার রাত থেকে নিজের বাসভবনে ঘেরাও হয়ে রয়েছেন উপাচার্য। পড়ুয়াদের দাবি, যতক্ষণ না পর্যন্ত উপাচার্য সিদ্ধান্ত বদল করছেন, তাঁদের এই আন্দোলন চলবে।
জানা যায়, গত শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঘেরাও করতে গিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে পড়ুয়ারা। এরপরই উপাচার্যের নিজের বাসভবন পূর্বিতাও ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, উপাচার্য স্বৈরাচারী মনোভাব নিয়ে চলছেন। পড়ুয়াদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের বদল না হলে তাঁদের এই আন্দোলন জারি থাকবে। এদিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পড়ুয়ারা মিছিল করেন। যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য একের পর এক স্বৈরাচারী সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তারই প্রতিবাদে এই মিছিল বলে পড়ুয়াদের জানিয়েছেন।
উপাচার্যের বাসভবনকে ঘিরে যাতে কোনও অশান্তি দানা বাঁধতে না পারে, সেজন্য ব্যাপক পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বাসভবনের চারিদিকে বেশ কয়েকটি সিসিটিভির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগে ৯টি সিসিটিভির ব্যবস্থা ছিল। এরপরে আরও ৯টি সিসিটিভি লাগানো হয়েছে বাসভবনের আশেপাশে।
যদিও এই ধটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনেই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অশান্তির পিছনে আসলে তৃণমূলের হাত রয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসে বিশ্বভারতীর এই অশান্তির নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির লোকেরা যে বিশ্বভারতীর বোর্ডে বসে রয়েছেন, সেই কথাও শোনা যায় মমতার মুখে। বিশ্বভারতীতে তিনজন পড়ুয়ার বহিষ্কারের পাশাপাশি ১২ জন অধ্যাপক ও অধ্যাপিকাকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।