শিল্পায়নের উদ্দেশে ৬ হাজার একর জমি প্রস্তুত করে রেখেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনের (ডব্লুউবিআইডিসি) ল্যান্ড ব্যাঙ্কে গ্রিনফিল্ড বিনিয়োগ বা বর্তমান বিভিন্ন প্রকল্পের সম্প্রসারণের জন্য এই বিপুল পরিমাণ জমি সংরক্ষিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি জেলা জুড়ে রয়েছে ১৪১১ একর ও ২৭ লক্ষ বর্গফুট উন্নত শিল্প জমি ও ৭টি জেলা জুড়ে রয়েছে ব্যবহারের উপযোগী ৪৬৩০ অনুন্নত শিল্প জমি।
সবচেয়ে বেশি উন্নত জমি রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও পশ্চিম বর্ধমানে। পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে ৪৭৪ একর ও পশ্চিম বর্ধমানে রয়েছে ৩৮০ একর উন্নত জমি। এদিকে, পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে রয়েছে ৩১৯৯ একর অনুন্নত জমি। এই জমিগুলি আদতে ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (ডব্লুউবিআইডিসি), ওয়েস্টবেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (ডব্লুউবিআইআইডিসি), ওয়েস্টবেঙ্গল স্মল ইন্ডাস্ট্রিস ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশন (ডব্লুউবিএসআইডিসি) এবং এসএআইপি–র।
এই এসএআইপি হল স্কিম ফর অ্যাপ্রুভড ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক প্রকল্প। যা বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থাকে তাদের নিজস্ব জমিতে শিল্প উদ্যান স্থাপনে উৎসাহিত করার জন্য চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ডব্লুউবিআইডিসি–র চেয়ারম্যান রাজীব সিনহা বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক কাঠামোর মধ্যে ছোট বা বড়— যে কোনও ধরণের শিল্পের জন্য সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করবে ডব্লুউবিআইডিসি।’ রাজীব সিনহা ইতিমধ্যে কলকাতার সমস্ত ব্যবসায়িক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং রাজ্য সরকারের সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন তাঁদের।
এদিকে, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন ইন্ডিয়ান চেম্বার অফ কমার্সের ডিরেক্টর জেনারেল রাজীব সিং। তাঁর কথায়, ‘করোনা আবহে তৈরি পরিস্থিতি, বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা এবং রাজ্যে আসন্ন নির্বাচন— এ সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গে নতুন বিনিয়োগের সিদ্ধান্তকে অন্তত ৬ মাসের জন্য পিছিয়ে দেবে। এখন প্রতিটি শিল্প প্রতিষ্ঠান ৭০–৮০ শতাংশের বেশি কার্যকর নয়। বিনিয়োগের মতো অর্থেরও অভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও শিল্প আপাতত নিজেদের বিস্তার করতে চাইবে না।’