কয়েক মাস ধরেই সময় ভাল যাচ্ছে না বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের। তাঁর কর্মিসভায় প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করে দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে ধার নিয়ে শোধ না দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূলেরই বর্ষীয়ান নেতা। এবার তো একেবারে অনুব্রতকে তুলোধোনা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। শুক্রবার বীরভূমের সদাইপুরে জামায়েতে উলেমায়ে হিন্দের একটি সভায় সরাসরি আক্রমণ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। বাছাই করা বিশেষণে বিঁধলেন তাঁকে।
সিদ্দিকুল্লার ক্ষোভের মূলে অনুব্রতর বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা। সম্প্রতি রামপুরহাট কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘অপদার্থ’ বলে বসেন তিনি। পর দিন ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে তাঁকেই বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিনিধি বলে ঘোষণা করে দেন তিনি। এর পর সাঁইথিয়ায় এক জনসভাতেও বিধায়ককেই প্রার্থী বলে ঘোষণা করেন তিনি। এতেই ক্ষেপেছেন সিদ্দিকুল্লা।
এদিন তিনি বলেন, ‘কেউ যদি মনে করে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দল ঘাসপাতা খায় তাহলে ভুল করবে। কেউ যদি দল বিক্রি করে খেতে চান, আর যা খুশি তাই বলেন, তা মেনে নেওয়া হবে না। সব আস্ফালনের উত্তর পাবলিক দেবে। চাবুক মারুন পিঠে। দল বড়, ব্যক্তি ছোট।’
সঙ্গে সিদ্দিকুল্লা দাবি করেন, বীরভূম থেকে তৃণমূল নেতারা গিয়ে আউশগ্রাম, কেতুগ্রাম ও মঙ্গলকোটে দলের সংগঠনে ক্যান্সার ধরিয়ে দিয়েছে। জামাত প্রধানের চ্যালেঞ্জ, ‘দল পাশে না থাকলে বোঝা যাবে, তাঁর ওজন ৭০ কিলো না ৫ কিলো।’
সিদ্দিকুল্লার মন্তব্যে পালটা কিছু না বললেও অনুব্রতর দাবি, তিনি যে প্রার্থী ঘোষণা করেননি তার প্রমাণ স্বরূপ ভিডিয়ো ফুটেজ রয়েছে তাঁর কাছে। তিনি বলেন, কে কী বলল তাতে আমার কিছু যায় আসে না।