এবার রাজ্যের শিল্পায়নের হাল নিয়ে নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার হুগলির চন্দননগরের এক সভায় সিঙুর প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, কারখানা খোলার নয়, কারখানা বন্ধ করার চাবি নিয়ে ঘোরেন দিদিমণি।
এদিন দিলীপবাবু রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকদের দশা নিয়ে প্রথমে ‘দিদিমণি’-কে আক্রমণ করেন। বলেন, ‘দিদিমণি বলছেন ৮০ শতাংশ লোককে চাল খাওয়াচ্ছেন। আসলে ৮০ শতাংশ মানুষকে উনি ভিখারি বানিয়েছেন। ২ টাকা কিলোর চাল খেতে বাধ্য করছেন। কেন ২ টাকা কিলো চাল খাবো? আমাদের রুচি নেই ইচ্ছামতো চাল খেতে পারি না আমরা? সেই অধিকার নেই। কারণ পয়সা নেই পকেটে’।
এর পর সিঙুর প্রসঙ্গে আসেন তিনি। বলেন, ‘আপনাদের জেলাতেই সব থেকে বড় কারখানা হয়েছিল। সিঙুর কারখানা। দু-চার হাজার লোক কাজ করত সেখানে। চারিদিকে ধান পেকে সোনালি হয়ে রয়েছে। আর যেই সিঙুরের কারখানার দিকে তাকাই দিদিমণির শাড়ির মতো ফর্সা, সাদা কাশফুল ফুটে রয়েছে’।
কারখানা যারা খুলবে তাদেরই ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘চাকরির জন্য পরিযায়ী শ্রমিক হয়ে কেন গুজরাত, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান যেতে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের যুবকদের। কারখানা বন্ধ করে আবার বড় বড় কথা বলছেন। কারখানা বন্ধ করার পার্টিকে আমরা দেব না। যারা কারখানা খুলবে তাদের দিতে হবে। আর সেটা হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি, মোদীজি করবেন’।
কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে কোনও কারখানার উদ্বোধন করেন না সেই প্রশ্ন তুলে দিলীপবাবু বলেন, ‘এখান থেকে পালিয়ে গুজরাতে গেছে টাটা। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জমি পেয়েছে। দিদিমণি চাবি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। খোলার জন্য নয়, বন্ধ করার জন্য। পুজো উদ্বোধন করেন, মেলা উদ্বোধন করে, খেলা উদ্বোধন করেন, কারখানা কেন উদ্বোধন করেন না?’
রাজ্যের শিল্পায়ন নিয়ে তৃণমূলকে বারবার বিঁধেছে বিরোধীরা। তাদের দাবি, তৃণমূলের জমি নীতি ও তোলাবাজির জন্য পশ্চিমবঙ্গে শিল্প গড়তে আসেন না শিল্পপতিরা। এই নিয়ে রাজ্যকে বিঁধেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও। রাজ্যে প্রতি বছর শিল্প সম্মেলন আয়োজনে কত খরচ হয়েছে আর তা থেকে কত বিনিয়োগ হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছে তার খতিয়ান চেয়েছিলেন তিনি।