তিনি জীবিত, সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে হেঁটে চলে বেড়াচ্ছেন। তা সত্ত্বেও প্রশাসনের খাতায় তিনি মৃত। প্রায় এক বছর ধরেই সরকারি খাতায় মৃত গৃহবধূ। এর ফলে দীর্ঘ সময় ধরে তিনি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছেন না। এই অবস্থায় প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন গৃহবধূ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাঁটাল ব্লকের সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কুরান গ্রামের।
আরও পড়ুন: আবেদন করেও মেলেনি প্রকল্পের সুবিধা, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পেতে অপেক্ষায় লক্ষ্মীরা
ওই গৃহবধুর নাম দিপালী মান্ডি। দিপালীর দাবি, কয়েক মাস আগে তিনি জানতে পারেন তার লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা আসছে না। ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাচ্ছেন না বলে তার দাবি। আধার কার্ডের নম্বর ধরে তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখেন আধার কার্ড নম্বর শো করলে সেখানে দেখানো হচ্ছে দিপালী মৃত। তা জানার পরেই হতবাক হয়ে যান দিপালী এবং তার পরিবারের সদস্যরা। এরপর নিজেকে জীবিত প্রমাণের জন্য গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসন সকলের কাছে প্রতিনিয়ত ছুটছেন তিনি। লিখিত আবেদন জানানোর পাশাপাশি মৌখিকভাবেও আর্জি জানিয়েছেন। কিন্তু, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে এখনও জীবিত হননি দিপালী। তাই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাজার টাকা করে না পাওয়ায় চরম সমস্যায় পড়েছে দিপালী। তিনি জানান, ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে রেশনের কাজ করতে আপাতত তার সমস্যা হচ্ছে না। শুধুমাত্র লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ক্ষেত্রেই তাকে মৃত বলে জানানো হয়েছে। তার কথায়, ‘আমরা গরিব মানুষ। টাকা না পেয়ে খুব সমস্যা হচ্ছে। এ অবস্থায় আমরা চাই দ্রুত সমস্যার সমাধান হোক।’
এ বিষয়ে সুলতানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কৌশিক জানা বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা ব্লক প্রশাসন থেকে শুরু করে মহকুমা প্রশাসন সকলকে জানিয়েছি। আশা করি দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’ এখন দেখার দিপালী আবার কবে থেকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের হাজার টাকা পায়। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগে তৃণমূল বোর্ড ছিল এই পঞ্চায়েতে। সেখানে দিপালী নিজের সমস্যার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু, সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার এখানে আমাদের নতুন বিজেপি বোর্ড তৈরি হয়েছে। আমরা মানুষের সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করছি। সমস্ত জায়গায় জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে দ্রুত ওর সমস্যার সমাধান হবে।’