অভিজ্ঞতা যত বেড়েছে, ঠান্ডা মাথায় লড়াই করার কৌশল রপ্ত করেছেন আন্দ্রে রাসেল। ঠিক সেই কারণেই কেকেআর দলনায়ক শ্রেয়স আইয়ার যখনই বিপাকে পড়েন, স্মরণ করেন দ্রে রাসকে। প্রতিপক্ষের জুটি ভাঙা হোক, অথবা ব্যাট হাতে দলকে খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলাই হোক, আন্দ্রে রাসেল বরাবর নাইট রাইডার্সের উদ্ধারকর্তা হয়ে দেখা দিয়েছেন।
তবে শুক্রবার ওয়ংখেড়ে স্টেডিয়ামে বেঙ্কটেশ আইয়ারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান-আউট হওয়ার পরে মাথা ঠান্ডা রাখতে পারেননি রাসেল। মাঠ ছাড়ার সময় তাঁর থমথমে মুখই বলে দিচ্ছিল কতটা ক্ষুব্ধ তিনি। পরে সাজঘরের সিঁড়ি বেয়ে ওঠার ঠিক আগে সেই ক্ষোভ বিস্ফোরণের রূপ নেওয়ার উপক্রম করেছিল। যদিও রাসেল শেষমেশ নিজেকে সংযত করে নেন।
ওয়াংখেড়েতে কেকেআর ইনিংসের ১৬.২ ওভারে মণীশ পান্ডে আউট হওয়ার পরে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন দ্রে রাস। তিনি মাঠে নেমে হার্দিকের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান। পরের বলে ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করেন। ১৬.৬ ওভারে হার্দিকের বলে রিভার্স শট খেলার চেষ্টা করেন বেঙ্কটেশ। বল চলে যায় শর্ট থার্ডম্যানে ফিল্ডিং করা নুয়ান তুষারার হাতে।
বেঙ্কটেশ শট নেওয়ার পরেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই নন-স্ট্রাইকার ব্যাটার রাসেল সেটিকে সিঙ্গল নেওয়ার আহ্বান বুঝে দৌড় শুরু করেন। তবে বেঙ্কটেশ হঠাৎই ক্রিজে ফিরে যাওয়া মনস্থির করেন। রাসেল ততক্ষণে ব্যাটিং ক্রিজের কাছে পৌঁছে গিয়েছেন। ফলে বাধ্য হয়েই রাসেল পুনরায় বোলিং ক্রিজে ফিরে আসার চেষ্টা করেন।
যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। দ্রে রাস ক্রিজে ফেরার আগেই তুষারার ছোঁড়া বল ধরে স্টাম্প ভেঙে দেন বোলার হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে ২ বলে ৭ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় রাসেলকে। বাউন্ডারি লাইন পার করে রাসেল সাজঘরের সিঁড়ি বেয়ে ওঠার আগে নিজের ব্যাট আছড়ে ফেলার উপক্রম করেন রেলিংয়ে। প্রায় ভেঙেই ফেলছিলেন ব্যাট। তবে শেষমেশ আবেগে নিয়ন্ত্রণ রাখেন ক্যারিবিয়ান তারকা।
রাসেল পরে বল হাতে দলের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। তিনি ৪ ওভারে ৩০ রান খরচ করে তুলে নেন ২টি উইকেট। রাসেল সাজঘরে ফেরান সূর্যকুমার যাদব ও হার্দিক পান্ডিয়াকে। কেকেআর শেষমেশ ২৪ রানে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে।
শুরুতে ব্যাট করে কলকাতা নাইট রাইডার্স ১৯.৫ ওভারে ১৬৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ১৮.৫ ওভারে ১৪৫ রানে অল-আউট হয়। ৭০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলার সুবাদে ম্যাচের সেরা হন বেঙ্কটেশ।