ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পাচ্ছিলেন ফলতা ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি তথা বজবজ বিধানসভার পর্যবেক্ষক জাহাঙ্গীর খান। রাতারাতি তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিল নবান্ন। জাহাঙ্গীর খানকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ধরা হয়। হঠাৎ কী কারণে তাঁর নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হল তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও শোনা যাচ্ছে, তাঁর বিরুদ্ধে সম্প্রতি বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে। সেই কারণেই জাহাঙ্গীরের বিশেষ নিরাপত্তা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দলের এই সিদ্ধান্তে কোনওরকম ভাবেই অসন্তুষ্ট নন জাহাঙ্গীর খান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'দল যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই সিদ্ধান্ত আমি মাথা পেতে নিয়েছি। আমি সাংসদের নির্দেশ মেনে চলব।' ডায়মন্ড হারবারের রাজনীতিতে জাহাঙ্গীর খানকে একজন প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে ধরা হয়। শুধু তাই নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে ধরা হয় জাহাঙ্গীর খানকে। তাঁর নাম প্রচারে উঠে এসেছিল অভিষেক বন্দোপাধ্যায় ২০১৪ সালে প্রথমবার সাংসদ হওয়ার পর। বিভিন্ন সভা মিছিলে অভিষেকের সঙ্গে একই মঞ্চে দেখা গিয়েছে এই জাহাঙ্গীর খানকে।
গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে তাকে ওয়াই ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল। যেখানে তিনি দু'জন কমান্ডো এবং ৮ নিরাপত্তারক্ষী পাচ্ছিলেন। নবান্নের তরফে নির্দেশিকা জারি করে তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীদের ডায়মন্ডহারবার পুলিশ লাইনে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, জাহাঙ্গীর খানের বিরুদ্ধে তোলাবাজি সহ বিভিন্ন রকমের অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ রয়েছে। বিরোধীরাও তাঁর বিরুদ্ধে নানা রকমের অভিযোগ করে থাকেন। এই পরিস্থিতিতে জাহাঙ্গীর খানের নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।