তৃণমূল জমানায় শাসকদল ঘনিষ্ঠদের গ্রেফতারির পর রাতারাতি জামিনই যেখানে দস্তুর, সেখানে ব্যতিক্রমী নজির হয়ে রইল আশুতোষ কলেজে ছাত্র সংঘর্ষের ঘটনা। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় ওই ঘটনায় গ্রেফতার ৫ ছাত্র নেতাকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর কলকাতায় ফাইল দিয়ে পুলিশকে আত্মরক্ষার চেষ্টা করতে দেখেছে রাজ্যবাসী। ২০১৪ সালে আলিপুর থানায় শাসকদলের নেতার তাণ্ডবের পর মুখ লুকিয়েছিল পুলিশ। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এই ভবানীপুর থানা থেকে দুষ্কৃতীদের ছড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার আশুতোষ কলেজে ‘ছাত্র’ সংঘর্ষে মাথা ফেটেছে সেই ভবানীপুর থানার আধিকারিকেরই। তবে এবার অভিযুক্তদের হেফাজতে নেওয়ার সাহস দেখাতে পেরেছে পুলিশ।
শুক্রবার সন্ধ্যায় জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কর্মসূচি ঘিরে তৃণমূলের ২ গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আশুতোষ ও শ্যামাপ্রসাদ কলেজ চত্বর। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইটবৃষ্টির মুখে পড়তে হয় ভবানীপুর থানার পুলিশকর্মীদের। মাথায় ইঁট পড়ে অতিরিক্ত ওসি রাজীব শাহুর। ঘটনায় শনিবার ৫ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতরা সুরজ সিং, সায়ন্তন চক্রবর্তী, প্রকাশ শাহ, বিকাশ শাহ ও জিসান আলি। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করলে ১৫ জুলাই পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।