ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে ডাক্তারি পড়ুয়ারাদের ঘেরাওয়ে আটকে ছিলেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষসহ বিভাগীয় প্রধানরা। প্রায় ৩৪ ঘণ্টা পর ঘেরাওমুক্ত হলেন তাঁরা। মঙ্গল বার মধ্যরাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে ডাক্তারি পড়ুয়ারা জানিয়ে দেন, তাঁরা আপাতত ঘেরাও তুলে নিচ্ছেন। তবে একই সঙ্গে এ নিয়ে আজ দুপুর দুটোর মধ্যে কর্তৃপক্ষকে নির্বাচন নিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নিতে বলেছেন। দাবি না মানা হলে আমরণ অনশনে নামবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডাক্তারি পড়ুয়ারা।
সোমবার থেকে ছাত্র সংসদ নির্বাচন সহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন পড়ুয়ারা। তাদের ঘেরাওয়ে আটকে পড়েন অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান সহ ২৭ জন কর্মকর্তা। এর ফলে হাসপাতালে চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। সমস্যায় পড়তে হয় রোগীদের। স্বাভাবিকভাবেই ব্যহত হয় রোগী পরিষেবা। প্রিন্সিপালের অফিসের মেঝেতেই ঘুমিয়ে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। যদিও, শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় গতকালই বেশ কয়েকজন আধিকারিককে অব্যহতি দেন পড়ুয়ারা। তবে বাকিদের ঘেরাও করে রাখেন। ঘেরাও তুলে নেওয়ার পর আজ সকালে অর্থোপেডিক বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অফিস থেকে বেরিয়ে যান।
তবে অধ্যক্ষ সহ অন্যান্য আধিকারিকরা সকালে হাসপাতালে থেকে রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার জন্য বৈঠক করেন। যদিও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের সঙ্গে একমত। তাঁরাও চাইছেন নির্বাচন হোক। তবে যে সময়সীমা পড়ুয়ারা বেঁধে দিয়েছেন সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখনও কোনও সবুজ সংকেত আসেনি। ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
পড়ুয়াদের বক্তব্য, ‘আমরা ঘেরাও তুলে নিয়েছি। রাতেই সাংবাদিক সম্মেলন করে সে কথা জানিয়ে দিয়েছি। তবে আমাদের দাবি দুপুর দুটোর মধ্যে পুরণ না হলে আমরা অনশনের পথে যাব।’ ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পাশাপাশি বিক্ষোভকারীদের হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে। সেই সমস্ত অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পড়ুয়ারা।