দু’দিন পরই শুরু হবে বিধানসভার কাজকর্ম শুরু হবে। আবার শীতকালীন অধিবেশন শুরু হবে। তবে তার আগে দলীয় বিধায়কদের একশো শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে ফতোয়া জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে সূত্রের খবর। সম্প্রতি দলীয় বিধায়কদের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন কারও নাম না নিলেও বিরোধীদের এবং নিজের দলের কিছু বিধায়কের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, স্পিকারের সেই হুঁশিয়ারির পর এবার বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করতে ফতোয়া জারি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
এদিকে আগামী ২৪ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে বিধানসভার অধিবেশন। ওই অধিবেশন থেকেই দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। বিজনেস অ্যাডভাইজারি বৈঠকের সিদ্ধান্ত ২৪ তারিখ থেকে শুরু ৩০ তারিখ পর্যন্ত দিন নির্ধারণ হয়েছে। ২৯ তারিখ আবার বিজনেস অ্যাডভাইজারি বসবে। সংবিধান দিবস নিয়ে আলোচনা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে ২৮ তারিখ। দু’ঘণ্টা আলোচনা হবে। তবে ২৯ তারিখ বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি বিল নিয়ে বিধানসভায় আলোচনা হবে। এমনকী ৩০ তারিখও মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি নিয়ে বিল বিধানসভায় আলোচনা হবে।
অন্যদিকে দলীয় বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি কে, কখন বিধানসভায় আসছেন এবং বেরিয়ে যাচ্ছেন সেটা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য জানতে মুখ্য সচেতক এবং পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে হাজিরা খাতা রাখা থাকবে। সেখানে প্রবেশ এবং প্রস্থানের সময় লিখতে হবে দলীয় বিধায়কদের। এই নিয়ম সেদিন থেকে চালু হবে। বিরোধীদের বিষয়টি আলাদা। তাঁদের আসা এবং না আসা নিয়ে স্পিকার কিছু বলতে পারেন। কোনও নিয়মে বাঁধতে পারেন না। তাই নিজের দলের বিধায়কদের জন্য এই ফতোয়া জারি হয়েছে।
আরও পড়ুন: আবার বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছল পুলিশ, তিন সদস্যের পুলিশ টিমে এবার ওসি
এবার এই উপস্থিতির বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আজ, বুধবার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আগামী ২৪ নভেম্বর শুক্রবার শুরু হবে বিধানসভা অধিবেশন। চলবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। শনিবার ও রবিবার ছুটি থাকবে। সোমবার গুরু পূর্ণিমা বলে অধিবেশন বসবে না। আবার অধিবেশন বসবে ২৮ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৮ তারিখ সংবিধান দিবস। ফলে সংশ্লিষ্ট দিনে সংবিধানের উপরেই আলোচনা হবে বিধানসভায়। আইএসএফ নামে কোনও পার্টির অস্তিত্ব নেই। নওশাদ রাষ্ট্রীয় সেকুলার মজলিস পার্টির সদস্য। বাইরে কি নামে বলা হয়, সেটা আমার জানা নেই। তবে এখানে গুরত্বপূর্ণ বিল নিয়ে আলোচনা হবে। তাই সবাইকে চিঠি দিয়ে আসতে অনুরোধ করা হয়েছে।’ এবারের অধিবেশনে বিধানসভায় মুখোমুখি হতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধী দলনেতা শুবেন্দু অধিকারী এবং নওশাদ সিদ্দিকী।