বেহালায় ট্রাকের ধাক্কায় স্কুল ছাত্রের মৃত্যুর পর নড়েচড়ে বসল পুলিশ। শনিবার থেকে শহরে ট্রাক চলাচলের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু হল কলকাতায়। সকাল ৬টার পর শহরে আর কোনও ট্রাক ঢুকবে না বলে লালবাজারের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৭ বছরের স্কুল ছাত্র সৌরনীলের মৃত্যুর পর বেহালার বড়িশা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর অভিযোগ ছিল, বেসরকারি স্কুলের সামনে নিরাপত্তায় থাকে পুলিশ, কিন্তু বারবার বলা সত্বেও তাদের স্কুলের সামনে কোনও পুলিশ কর্মী দেওয়া হয়নি। এই অভিযোগ কানে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর। তাঁর নির্দেশেই এবার সরকারি-বেসরকারি সমস্ত স্কুলের বাইরে একজন ওসি বা অ্যাডিশনার ওসি পদমর্যাদার পুলিশ কর্মী দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়া স্কুল সামনে যান নিয়ন্ত্রণ এবং ভিড় সরানোর দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ কর্মীরা। লালবাজার থেকে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দুর্ঘটনা ঘটলে আগে দেহ সরানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
(পড়তে পারেন। বেহালার পর দ্বিতীয় হুগলি সেতু, যুবতীর স্কুটিতে বেপরোয়া লরি ধাক্কা মারতেই মৃত্যু)
বেহালায় বদলেছে পথনিরাপত্তার ছবি
শুক্রবারের দুর্ঘটনার পর বেহালা চৌরাস্তার নিরাপত্তার ছবিটা কার্যত বদলে গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবার রোডের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যরিকেড । একাধিক জায়গায় মুভেবেল ড্রপগেট লাগানো হয়েছে।
শনিবার সকাল থেকেই ট্রাফিক পুলিশের তৎপতা ছিল চোখে পড়ার মতো। সকালে পুলিশ তৎপতা দেখে অবাক এলাকাবাসীরা। তাদের কেউ কেউ বলছেন, এই তৎপতরা যদি আগে দেখানো যেত তবে ছোট্ট সৌলনীলকে বাঁচানো যেত।
শনিবার হওয়ার কারণে রাস্তায় স্কুল পড়ুয়ার সংখ্যা তুলনামূলক ভাবে কম চোখে পড়ছে। চৌরাস্তাতে যাত্রী চলাচলের ছবিটাও একটা দুর্ঘটনার পর পালটে গিয়েছে। যাত্রীরা জেব্রা ক্রসিং ধরে রাস্তা পারাপার করছেন। পুলিশের তৎপরতায় অটো বা বাস ধরার জন্য নির্দিষ্ট জায়গায় নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রীরা। পুলিশ বাসকে নির্দিষ্ট জায়গায় দাঁড় করিয়ে যাত্রী তুলতে বাধ্য করছে। পুলিশের এই তৎপরতা যাত্রীরা আশ্বস্ত হলেও কতদিন তা থাকবে তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা।