নৈহাটিতে বড় মার পুজো শুরু করেন। এই বছর ১০০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মায়ের মন্দির ও কষ্টি পাথরের মূর্তি বসার পর প্রথমবার হচ্ছে অন্নকূটের অনুষ্ঠান।
বড়মার পুজো শুধু রাজ্যে নয় রাজ্যের বাইরেও খুবই বিখ্যাত। ভক্তগণের মুখে মায়ের বিশেষ মাহাত্ম্য ছড়িয়ে পড়েছে দিকে দিকে। এই বছর গোটা মন্দির চত্বরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। অমাবস্যা তিথিতে মাকে বিশেষ ভোগ দেওয়া হয়েছে। দুটোর পর থেকে শুরু হয়েছে ভক্তদের সমাবেশ।
বহু মানুষ গরম উপেক্ষা করে মায়ের অন্নকূটের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন এবার। প্রায় ৩০০০ কেজির পোলাও রান্না করে মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়েছে।
যেহেতু এই বছর প্রথম বড়মার মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাই এই অন্নকূটের উৎসব ঘিরে মানুষের উদ্দীপনা ছিল তুঙ্গে। বহু মানুষ বড়মার টানে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসে তাদের মনস্কামনা নিয়ে। অন্নকূট এর উৎসব উপলক্ষে এগারোটা থেকে দুটো পর্যন্ত ছিল মায়ের বিশেষ পুজোর আয়োজন। তারপর মাকে ভোগ নিবেদন করা হয়। পোলাও সঙ্গে থাকে আলুর দম ও পায়েস। ভক্তদের এই ভোগই বিতরণ করা হয়। বিশ্বাস করা হয় বড়মার কাছে কোনও প্রার্থনা জানালে সে প্রার্থনা অবশ্যই পূরণ হবে। সেই বিশ্বাস নিয়ে মানুষ দূর দূরান্ত থেকে তাঁর কাছে ছুটে আসে।
রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু মানুষ এসেছিলেন বড়মার মন্দিরে। তাদের ভিড় উদ্দীপনা ও উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। কঠোর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যে বড়মার অন্নকূট এর উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বড় মাকে দেখতে বহুদূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসে। তবে অন্নকূট এর উৎসবে প্রচন্ড ভিড় হয় বলে বড়মার পুজো এই দিন মানুষ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নেওয়া হয় না। এদিন শুধুমাত্র মাতৃ দর্শন করা হয় এবং ভোগের কুপন কেটে ভোগ মানুষ গ্রহণ করতে পারে। কুপনের ব্যবস্হা মন্দির থেকে করা হয়।