রাত পোহালেই বাংলা নববর্ষ। প্রত্যেক বছরই নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাট মন্দিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা তিনি যেখানেই থাকুন না কেন। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে জেলায় ব্যস্ত থাকলেও আজ, শনিবার চৈত্র সংক্রান্তির সন্ধ্যেয় কালীঘাট মন্দিরে এলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামনায় নকুলেশ্বর মন্দিরে পুজো দিলেন তিনি। তার পর সেখান থেকে চলে যান কালীঘাট মন্দিরে। সেখানে গিয়েও পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। অভিষেকের মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন। সকলেই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন।
এখন লোকসভা নির্বাচন দুয়ারে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার চলছে জোরকদমে। আজও তিনি জেলায় নির্বাচনী প্রচার সেরেই কলকাতায় ফেরেন। এখন নির্বাচনের আদর্শ আচরণবিধি চলছে। তাই আগামীকাল বাংলা দিবস অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। আর পয়লা বৈশাখ সরকারি ছুটি। এরপর আগামী ১৭ তারিখ বুধবার অসম যাওয়ার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন তিনি। তারপর ফিরে এসে আবার বাংলার নির্বাচনী প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়বেন। তাই সময় হাতে থাকতেই কালীঘাট মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে গেলেন তিনি।
আরও পড়ুন: দোকানে চোর ঢুকে নিয়ে গেল ইলিশ–পাবদা, নববর্ষের প্রাক্কালে হাপিত্যেশ মৎস্য ব্যবসায়ীদের
এদিকে আজ, শনিবার যে মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাট মন্দিরে আসবেন সেটা আগেই জানিয়ে দেন তিনি। সেই কথা অনুযায়ী আজ সন্ধ্যায় কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিতে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানে এসেই প্রথমে নকুলেশ্বর মন্দির এবং তার পর কালীঘাট মন্দিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তাই মন্দির চত্বর মুড়ে ফেলা হয় নিরাপত্তার চাদরে। আজ সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নকুলেশ্বর মন্দিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে পুজো দেন এবং আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এখান থেকে তিনি চলে আসেন কালীঘাটে। কালীঘাট মন্দিরে গর্ভগৃহে পুজো দেন মুখ্যমন্ত্রী। বেনারসি শাড়ি উৎসর্গ করেন।
অন্যদিকে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে বেরিয়ে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর উপস্থিত সকলকে নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছা জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, ‘রাজ্যবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানাই। সকলের সুস্থতা কামনা করছি। সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন। নতুন বছর সকলের ভাল কাটুক।’ রাজ্যবাসীর কথা মাথায় রেখে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তার পরই কালীঘাট মন্দির চত্ত্বর থেকে বেরিয়ে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।