২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেডে লক্ষ কণ্ঠে গীতাপাঠের আয়োজন করছে অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ, সংস্কৃত সংসদ ও মতিলাল ভারত তীর্থ সেবা মিশন আশ্রম সহ একাধিক সংগঠন। সেই গীতাপাঠ অনুষ্ঠানের শেষমহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। এই অনুষ্ঠানে গীতাপাঠ করার জন্য দূরদূরান্ত থেকে যেমন সাধু-সন্ন্যাসী হজির হবেন, তেমনি বারুইপুর থেকে হাজির হচ্ছেন ইমান আলি শেখ এবং ফরেজ লস্কররাও।
কেন ইমান-ফরেজরা গীতাপাঠের অনুষ্ঠানে? কারণ জানিয়েছেন নিজেরাই। এলাকায় সব ধর্মের মানুষরা একসঙ্গে বাস করেন। ইমামের কথায় গীতা কোনও ধর্মগ্রন্থ নয়, মানুষের জীবন দর্শনের কথা বলে। তিনি বলেন, ‘এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে গেলে যে প্রত্যেককে সেই ধর্মের হতেই হবে এমন তো নয়। যার ভাল লাগবে সেই যাবে। যার ভাল লাগবে সেই শুনবে। আমরা জাতি-ধর্ম-নির্বিশেষে সব জায়গায় যেতে ভালবাসি। আপনার ধর্ম আমি কেড়ে নেব না, আমার ধর্ম আপনি কেড়ে নেবেন না। আমার ভাল লাগে, তাই আমি যাব।’
(পড়ুন। শনিবার রাত থেকে রাজপথ পুলিশের দখলে, বড়দিনে পার্ক স্ট্রিটে থাকছে বাড়তি ব্যবস্থা)
তিনি আরও বলেন, ‘পুরাণ ও কোরান হিসেব করলে একই কথা বলে। তাই কোনও ধর্মে হস্তক্ষেপে বিশ্বাসী নন তাঁরা। হিন্দুদের যেমন হরিনাম, তেমন আমাদের জলসা, মিলাত। তাই ধর্মকে কাঁটাতার হিসেবে মনে করি না আমরা। বরং আদান-প্রদানেই বিশ্বাসী।’
(পড়ুন। শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার জন্য স্পেশাল ট্রেন, ছাড়বে হাওড়া থেকে, সময়টা জেনে নিন)
তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে এই অনুষ্ঠানের সহ সভাপতি নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারীও বললেন, ‘এটা তো সনাতন ধর্মের কথা। এখানে সবাই স্বাগত। রবিবার ব্রিগেডে তৈরি হবে সর্ব-ধর্ম সমন্বয়ের আরও এক উজ্জ্বল উদাহরণ।’
রবিবার ২০টি ব্লকে ভাগ করে এই গীতাপাঠ হবে। প্রতিটি ব্লকে পাঁচ হাজার করে মানুষ বসে গীতাপাঠ করবেন। এই অনুষ্ঠানে গীতার ৫টি অধ্যায় পড়া হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন, দ্বারকার শঙ্কারাচার্য সদানন্দ সরস্বতী এবং পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের দ্বৈতাপতি। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে সবাইকে স্বাগত জানানো হয়েছে।