বছরভর এই পৌষমেলার জন্য় অপেক্ষা করেন অনেকেই। শুধু রবীন্দ্রপ্রেমীরা পৌষমেলায় ভিড় জমান এমনটা নয়, নানা বয়সের নানা রুচির মানুষ ভিড় জমান পৌষমেলায়। ২৪শে ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে পৌষমেলা। চলবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এবার পৌষমেলা হচ্ছে শান্তিনিকেতনের সেই পূর্বপল্লির মাঠে। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই ব্যাগ গুছোতে শুরু করে দিয়েছেন। মেলার ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক থেকে শুরু করে পর্যটকদের মনেও খুশির হাওয়া। বিগত তিন বছর শান্তিনিকেতনের পৌষমেলার মাঠে বিশ্বভারতী পৌষমেলার আয়োজন করেনি। এবার হচ্ছে সেখানে। আর এবার রেকর্ড ভিড় সামলাতে বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে খবর।
সাধারণ পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে এই ট্রেনে সাধারণ দ্বিতীয় শ্রেণির আসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর জেরে সাধারণ যাত্রীরা এই ট্রেনটিতে করে শান্তিনিকেতন যেতেই পারেন।
পূর্ব রেল জানিয়েছে, ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বিশেষ ট্রেন চলবে। হাওড়া থেকে ট্রেনটি ছাড়বে। সেটাই ব্যান্ডেল হয়ে রামপুরহাট পর্যন্ত যাবে। এই ট্রেনটি হাওড়া থেকে সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ছাড়বে। ট্রেনটি বেলা ১১টা ১০ মিনিটে রামপুরহাটে পৌঁছবে।
অন্যদিকে বিকেল ৩টের সময় ট্রেনটি রামপুরহাট স্টেশন থেকে ছাড়বে। এরপর সন্ধ্যা ৭টার সময় সেটি হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছবে। এই ট্রেনটি ব্যান্ডেল, বর্ধমান, গুসকরা, বোলপুর, প্রান্তিক, আমোদপুর, সাঁইথিয়া স্টেশনে থামবে। সেক্ষেত্রে কেউ যদি বোলপুর স্টেশনের কাছে হোটেল নিতে চান তিনি বোলপুরে নামতে পারেন। আবার কেউ যদি প্রান্তিকের কাছে হোটেল বুক করে থাকেন তবে প্রান্তিকে নেমে ফাঁকায় ফাঁকায় হোটেলে চলে যেতেই পারেন।
শান্তিনিকেতন মানেই মনের আরাম, প্রাণের শান্তি। আর প্রতিবছর পৌষমেলা উপলক্ষ্যে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান শান্তিনিকেতনে। হোটেলে, রিসর্টে ভিড় উপচে পড়ে। অনেকেই ট্রেনের টিকিট পান না। প্যাসেঞ্জার ট্রেনগুলিতেও বেশ ভিড় হয়। সেক্ষেত্রে এবার তাঁরা এই স্পেশাল ট্রেনে যেতেই পারেন।