ক্ষমতার লোভে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন বিমল গুরুং। বুধবার গুরুংয়ের বিজেপির সঙ্গ ত্যাগের ঘোষণার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন তিনি বলেন, ‘ছত্রধর মাহাতোর স্টাইলে বিমল গুরুংকে রাজনীতিতে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।’
এদিন দিলীপবাবু বলেন, ‘আমরা কখনো গোর্খাল্যান্ডের দাবি সমর্থন করিনি। আমরা তাঁদের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করেছিলাম। কেন্দ্রীয় সরকার বারবার চেষ্টা করলেও রাজ্য সরকার সহযোগিতা না করায় সাফল্য আসেনি’।
দিলীপবাবুর প্রশ্ন, ‘এক সময় তো তৃণমূলের সঙ্গে ছিলেন উনি। কেন তৃণমূল ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে?৩ বছর ধরে ওনাকে ও কয়েক শ যুবককে পাহাড়ের বাইরে থাকতে হয়েছে? তার জন্য দায়ী কে’?
দিলীপের দাবি, দুঃসময়ে বিজেপিই ছিল গুরুংদের পাশে। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলের পুলিশের অত্যাচারে বহু মানুষকে পাহাড় ছেড়ে থাকতে হয়েছে। না খেয়ে থাকতে হয়েছে। সেই সময় কেউ দেখতে যায়নি। আমি দেখতে গিয়েছিলাম। আমাকেও গুন্ডা দিয়ে আক্রমণ করা হয়েছিল’।
গুরুংয়ের রাজনীতিতে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টাকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘বাধ্যবাধকতার রাজনীতি করছেন উনি। ছত্রধর মাহাতোর স্টাইলে তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ থাকা সত্বেও তাঁকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করানো হচ্ছে’।
পাহাড়ের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দায়ী করে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তাঁদের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার ধারা লাগিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ ক্ষমতার জন্য তাঁর কাছেই আত্মসমর্পণ করতে হচ্ছে। পাহাড়ে নির্বাচন হচ্ছে না। সেজন্য তো বিজেপি দায়ী নয়, দায়ী হলেন মুখ্যমন্ত্রী’।
বিমল গুরুংকে দিলীপের চ্যালেঞ্জ, ‘রাজনীতিতে পরিবর্তন হতেই থাকে। আমরাও দেখব। আমরা চাই পাহাড়ের সমস্ত সমস্যার স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান হোক। আমরা চাইব পাহাড়ে শান্তি ফিরুক’।