অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার দিল্লির দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তবে রুজিরা ইতিমধ্যে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে করোনা পরিস্থিতির জেরে দুই শিশু সন্তানকে ছেড়ে তাঁর পক্ষে দিল্লি যাওয়া সম্ভব নয়। কলকাতার বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি সবরকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিকে সূত্রের খবর, আগামী ৬ই সেপ্টেম্বর অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়কে হাজির হতে বলা হয়েছে। তবে অভিষেক ওইদিন ইডির মুখোমুখি হবেন কি না তা নিয়ে নানা চর্চা রয়েছে। তবে এসবের মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে বিশেষ দাবি করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই দাবি করেছে, কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা ইস্টার্ন কোলফিল্ডস লিমিটেডের একাধিক পদস্থ কর্তাদের সঙ্গে অনুপ মাজি, বিনয় মিশ্রদের মতো অভিযুক্তদের আঁতাঁতের স্পষ্ট তথ্য মিলেছে। এদিকে সিবিআইয়ের এই দাবিকে ঘিরে নানা মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অন্যদিকে সিবিআই গত নভেম্বরে লালার পাশাপাশি ইসিএলের দুই কর্তার বিরুদ্ধেও এফআইআর দায়ের করে। সিবিআই দাবি করেছিল লালা ও ইসিএলের আধিকারিকদের একাংশের মধ্যে যোগসাজশ ছিল। এভাবেই আসানসোল সহ রেলের অন্য়ান্য অংশে রেলের সাইডিং থেকে কয়লা পাচার হয়েছে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকারের রাজস্বের বিপুল ক্ষতি হয়েছে।
অন্যদিকে অন্যতম অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা সুপ্রিম কোর্টে দাবি করেছে রাজ্য় সরকারের অনুমতি ছাড়া সিবিআই পশ্চিমবঙ্গে তদন্ত করতে পারে না। এদিকে রাজ্য সরকারও এই যুক্তিকে সমর্থন করেছে। তবে এক্ষেত্রে সেই যুক্তি খণ্ডন করে সিবিআইয়ের দাবি, পশ্চিমবঙ্গে রেলের এলাকায় কয়লা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। সেক্ষেত্রে সিবিআইয়ের তদন্তের পূর্ণ অধিকার রয়েছে।