পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতারের পরেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। অনেকটাই ব্যাকফুটে তৃণমূল কংগ্রেস। এই পরিস্থিতিতে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি তুলে ধরতে মরিয়া তৃণমূল। গতকাল আন্দোলনরত এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় তারা খুশি। আর এই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা।
বিজেপি সিপিএম একযোগে এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একজন সাংসদ। তিনি সরকারের কোনও পদে নেই চাকরিপ্রার্থীদের এইভাবে চাকরির আশ্বাস দিতে পারে শিক্ষা দফতর বা শিক্ষামন্ত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কীভাবে চাকরির আশ্বাস দিতে পারলেন! যদিও তৃণমূলের দাবি, আলোচনায় ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তবে সেই আলোচনা শিক্ষামন্ত্রীর দফতরে না হয়ে কেন অভিষেকের দলীয় কার্যালয়ে হল? তাই নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘তৃণমূল দল এবং সরকারের মধ্যে কোনও পার্থক্য মানে না। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও মানেন না তার দলের বাকিরাও মানে না। আসলে আন্দোলন ভেঙে যাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এইভাবে দলীয় দফতরে বসে চাকরির আশ্বাস দেওয়া যায় না।’
সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে চাকরি বিলি হয়েছিল। দলীয় অফিস থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত আলোচনা হয়েছিল বলে দুর্নীতি হয়েছিল। সেই রীতি বহন করে চলেছেন শিক্ষামন্ত্রী।’ প্রসঙ্গত, গতকাল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে শহিদুল্লাহ বলেন, ‘স্যার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং শিক্ষামন্ত্রী আমাদের সমস্যা নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আলোচনা ইতিবাচক হয়েছে। আমরা খুশি। ওরা আমাদের ১০০ শতাংশ চাকরি দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন।