এখন লোকসভা নির্বাচন হলে বাংলায় কতগুলি আসন পাবে বিজেপি? এই প্রশ্ন এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ৬ নম্বর মুরলীধর সেন লেনে। ২০১৯ সালের নির্বাচনে বাংলা থেকে ১৮টি আসন পেয়েছিল তারা। এই তথ্য জানতে প্রতিটি জেলা থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করেছে বঙ্গ–বিজেপির নেতারা। তাতে দেখা যাচ্ছে, এখন লোকসভা নির্বাচন হলে অর্ধেক আসন ধরে রাখতে পারবে না বিজেপি। আর তার প্রধান কারণ, সাংগঠনিক দুর্বলতা। যদিও পরবর্তী লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ সালে।
এই রিপোর্ট হাতে পেয়েই চোখ কপালে উঠেছে সুকান্ত, অমিতাভ, দিলীপের। এখন দলের কর্মী–সমর্থকের সংখ্যা তলানিতে ঠেকেছে। জেলায় জেলায় সংগঠন ভেঙে গিয়েছে। সেখানে চাঙ্গা করা যাচ্ছে না কর্মী–সমর্থকদের। নিচুতলার সঙ্গে উপরতলার সমন্বয়ের অভাবও একটা বড় কারণ বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে।
এই রিপোর্টে কী উল্লেখ রয়েছে? জেলা সংগঠনের রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ৭৮ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। সেখানে ৭০ শতাংশ বুথ কমিটি নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে। ১০৮টি পুরসভা নির্বাচনে অধিকাংশ বুথে এজেন্ট দেওয়া যায়নি। তার মধ্যে আদি–নব্যদের বিভাজন সংগঠনকে আরও দুর্বল করেছে। জঙ্গলমহলের ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে বিজেপি হেরেছে।
উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় শক্তিক্ষয় হয়েছে। এই বিষয়ে নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক রাজ্য নেতা বলেন, ‘সংগঠনের অবস্থা একেবারে তলানিতে। সেই রিপোর্টই এসেছে। তাতে ১৮টি তো দূরঅস্ত। অর্ধেক আসন ধরে রাখা যাবে না। এখন যদি লোকসভা নির্বাচন হয় তাতে মুখ থুবড়ে পড়বে দল’। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘২০১৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিজেপি বাংলায় বেড়েছে। কিন্তু সংগঠনকে ততটা শক্তিশালী হয়নি। তাই নিচুস্তরে সংগঠনের পুনর্নির্মাণের চেষ্টা করছি।’ সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে পদ্মের চারিদিকে কাঁটাই বেশি।