একদিকে ইডি জেরা থেকে বেরিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা রাজু সাহানিকে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। এই নিয়ে এখন রাজ্য– রাজনীতিতে আলোড়ন পড়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে পাল্টা ভবিষ্যদ্বানী করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? এই গোটা পরিস্থিতি নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘পিসি ভাইপোর বোল বিগার গ্যায়া। পিসি–ভাইপোর কথাবার্তা এখন উল্টোপাল্টা হচ্ছে। ওঁরা ভবিতব্য বুঝতে পারছেন। আগামীদিনে অনুব্রতর মতো মাটিতে শুতে হবে। সবে তো শুরু হয়েছে। আরও অনেকে ঢুকবে। এতগুলো তদন্ত চলছে। সরকারি সব দফতরে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। বাংলার মানুষ চাইছেন, এ সব দ্রুত শেষ হোক। তদন্তও সেই পথেই এগোচ্ছে। তদন্ত চলতে থাকলে অর্ধেক দল, নেতা-মন্ত্রীরা জেলে ঢুকে যাবে।’
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হয়েছেন হালিশহর পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেতা রাজু সাহানি। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। প্রচুর নগদ টাকা এবং কয়েক কোটির সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। নিউ টাউনে রাজু সাহানির ফ্ল্যাটে তল্লাশির সময় ৫০ লক্ষের বেশি টাকা উদ্ধার হয়। এই টাকার উৎস বলতে পারেননি পুরপ্রধান। এর পরই তাঁকে গ্রেফতারির সিদ্ধান্ত নেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাইল্যান্ডে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছেন গোয়েন্দারা। পাওয়া গিয়েছে একটি দেশি পিস্তল।
কী বলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? ইডি দফতরে জেরাপর্ব শেষ করে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমার সঙ্গে বিন্দুমাত্র যোগসূত্র থাকলে, পাঁচ পয়সা নিয়েছি প্রমাণ হলে ইডি–সিবিআই লাগানোর প্রয়োজন নেই। মঞ্চ তৈরি করবেন, মৃত্যুবরণ করব। আমি বক্তব্য পাল্টাচ্ছি না। গরুপাচারের টাকা অমিত শাহের কাছে যায়। এই টাকা বিজেপির কাছে যায়। এটা গরুপাচার দুর্নীতি নয়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দুর্নীতি। দু’জনকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করেছে, তার মধ্যে একজন নিশীথ প্রামাণিক। গরু চোরকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করে গরু পাচারের তদন্ত করছে।’