এবার ধনধান্য অডিটোরিয়াম উদ্বোধন করা নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আজ, শুক্রবার সকালের বিমানে আন্দামানের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ একাধিক বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন। এমনকী ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে ধনধান্য অডিটোরিয়াম গড়া নিয়েও বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? রাজ্যে আরও একটি সুন্দর অডিটোরিয়াম গড়ে তোলা হয়েছে। এই বিষয়টি তিনি কেমনভাবে দেখছেন তা জানতে চাওয়া হয়। তখনই নিজের ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী ডিএ দিতে পারছেন না। অথচ ৪৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে অডিটোরিয়ামের উদ্বোধন করছেন। স্বাভাবিকভাবেই লোকের মনে প্রশ্ন উঠছে, ডিএ’র জন্য ধরনা চলছে। আর এত কোটি টাকার বিল্ডিং তৈরি করার কি মানে হয় পশ্চিমবাংলায়?’ যদিও এই অডিটোরিয়াম নিয়ে বাংলার মানুষ প্রশংসাই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বলে খবর।
আর কী বলেছেন দিলীপ? রাজ্য সরকারকে একহাত নিয়ে মেদিনীপুরের সাংসদ সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘অডিটোরিয়াম কম নেই বাংলায়। এত অডিটোরিয়াম থাকা সত্ত্বেও উনি প্যান্ডেল বেঁধে প্রশাসনিক বৈঠক করেন। তাহলে কি হবে অডিটোরিয়াম তৈরি করে? আমাদের অডিটোরিয়াম দেওয়া হয় না প্রোগ্রাম করার জন্য। কিসের জন্য করা হচ্ছে এত টাকা ব্যয় করে অডিটোরিয়াম! তাহলে কেন এত খরচ?’ যদিও ডিএ মামলার শুনানি সুপ্রিম কোর্টে বারবার পিছিয়ে গিয়েছে। তবে রাজ্যে তীব্র গরমেও আন্দোলন অব্যাহত।
আজ বাংলায় আসছেন অমিত শাহ। কেন এমন সফর? সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। এই বিষয়ে মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ বলেন, ‘প্রতি মাসেই আসবেন। মাঝখানে পরীক্ষা ছিল বলে প্রোগ্রাম হয়নি। লোকসভার প্রস্তুতির জন্য তার এই বঙ্গ সফর।’ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কেন্দ্রকে দুষে বলেছেন, ‘কেন্দ্রের কাছে ভিক্ষা চাইব না। শাড়ির আঁচল নিয়ে মা–বোনেদের কাছে ভিক্ষা চাইব।’ আপনার প্রতিক্রিয়া কী? জবাবে দিলীপ কটাক্ষ, ‘সকাল থেকে টাকা টাকা করেন কেন? আর কোনও কথা শুনি না ওনার মুখ থেকে। সকাল থেকেই টাকা, বিকাল হলেও টাকা, রাত হলেও টাকা। ভিক্ষা চাইবেন না তো এত লোক রাস্তায় বসে আছে কেন? তাহলে তাদেরকে দাবি মিটিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দিন। তারা বাড়ি গিয়ে কাজ করুক। ডিএ’র জন্য ধরনা হবে কেন?’