গতকাল বিধানসভায় গিয়ে বিজেপির পরিষদীয় দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। চলতি অধিবেশনে কোনও অস্ত্রে শান দিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করা যেতে পারে, তারই পরিকল্পনা করা হয় গেরুয়া শিবিরের সেই বৈঠকে। এদিকে বিজেপি জানে, দুর্নীতির ইস্যুকে দূরে সরিয়ে রেখে তৃণমূল কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হবে। বিগত বেশ কয়েক মাস ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে অভিষেক অভিযোগ করে এসেছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা বাংলাকে দেওয়া হচ্ছে না। এই আবহে ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে থাকায় অনেকেই টাকা পায়নি বলে অভিযোগ। আর সেই অভিযোগ জানাতে কয়েক কেজি নথি নিয়ে দিল্লি গিয়েছিলেন অভিষেক। রাজভবনে শেষ পর্যন্ত সেই নথি জমা করে দিয়ে আসেন তিনি। এই আবহে সুকান্ত জানান, রাজ্যে ১০০ দিনের কাজ করেও যরা যারা টাকা পাননি, তাদের নাম দিল্লিতে জমা করবে বিজেপি। (আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম তৈরি হলে তার কোন প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গে? জানুন পূর্বাভাস)
২০২১ সালে তৃতীয়বারের মতো বাংলায় সরকার গঠন করার পর থেকেই নানান দুর্নীতির অভিযোগে জর্জরিত তৃণমূল কংগ্রেস। নিয়োগ থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা তছরুপ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তদন্তের ভার গিয়ে পড়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার কাঁধে। জেলে গিয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। এরই মধ্যে রাজনৈতিক ভাবে এই সব অভিযোগের মোকাবিলা করতে তৃণমূল পালটা দাবি তুলেছে, কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা রাজ্য সরকারকে দিচ্ছে না বিজেপি। এদিকে এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গেরুয়া শিবিরের পালটা দাবি, দুর্নীতি করার জেরেই টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। তবে সাধারণ মানুষ কি আর এত প্যাঁচ বোঝে? এই আবহে গত বৃহস্পতিতেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হয়েছিলেন মমতা। দোষ যারই হোক, আম জনতার হাতে টাকা পৌঁছচ্ছে না। আর রাজনৈতিক ভাবে এরই সুফল নিচ্ছে তৃণমূল। এই আবহে বিজেপি চাইছে, এই বঞ্চনার অভিযোগকে নাকচ করা।
আরও পড়ুন: অবশেষে বাড়তে চলেছে ডিএ, ডিসেম্বরে যেকোনও দিন আসতে পারে সুখবর
রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে সুকান্ত দলীয় বিধায়কদের নির্দেশ দেন, যারা সত্যি ১০০ দিনের কাজ করেছেন অথচ টাকা পাননি, তাদের তালিকা বানাতে হবে। এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে নাকি বৈঠকে বসবেন সুকান্ত। কারা কারা টাকা পাচ্ছেন না, তা তাঁরা প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানাবেন। সুকান্তর বক্তব্য, আমরা চাই না যে গরিব মানুষ টাকা পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকুক। তবে সেই গরিব মানুষ কারা, সেটা সঠিক ভাবে চিহ্নিত হওয়া প্রয়োজন।