ভবানীপুরে হেরে গিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল। রেকর্ড ভোটে জয়ী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে এদিন ফলাফল ক্রমশ প্রকাশ্যে আসতেই ফাঁকা হতে শুরু করে বিজেপির হেস্টিংস অফিস। সব মিলিয়ে ২১শের মহারণে ফল প্রকাশের সেই বিষন্ন দিনটা যেন ফিরে এল এদিন। এদিন ভবানীপুর উপনির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বঙ্গ বিজেপি।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে,এটা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল না তবে এটা আমরা মেনে নিয়েছি। নন্দীগ্রামে হেরে যাওয়ার পর তিনি হয়তো ভবানীপুরে বেঁচে গেলেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের প্রশাসনের মুখ্যসচিবের উদ্যোগে এই নির্বাচনের তৎপরতা শুরু হয়েছিল। তবে মুখ্যসচিবের এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছিল আদালত। রাজ্য প্রশাসন, আতঙ্কের পরিবেশ, ভোট পরবর্তী হিংসার ছায়া ভোটারদের উপর পড়েছে। এরকম পরিবেশে নির্বাচন হয়েছে। গোটা প্রচারপর্ব জুডে় প্রশাসন একপেশে ব্যবহার করেছে। বিজেপির প্রার্থীকে ঠিকমতো প্রচার করতে দেওয়া হয়নি।
পাশাপাশি বিজেপির দাবি, তৃণমূলের মন্ত্রীদের সহায়তায় তৃণমূল ক্যাডাররা এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করেছিল।দুঃখজনকভাবে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ভয় দূর করতে কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। ভবানীপুরে প্রচুর ছাপ্পা ভোট হয়েছিল। বিজেপি প্রার্থী ধরেও ফেলেছিলেন। কিন্তু তৃণমূলের চাপে কলকাতা পুলিশের সহায়তা তাদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। বার বার গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লঙ্ঘন করলে দীর্ঘকালীন ক্ষেত্রে তৃণমূলকে কেউ বাঁচাতে পারবে না। আমাদের লড়াই চলবে। সব শেষে লেখা হয়েছে বিবেকানন্দর সেই অমোঘ বাণী, ওঠো, জাগো, লক্ষ্য়ে না পৌঁছন পর্যন্ত থেমো না। দলের রাজ্য সহ সভাপতি প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বাক্ষর রয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।