আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যে ফের শুরু হল ম্যারাথন বৈঠক। মঙ্গলবার নিউ টাউনে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বাসভবনে শুরু হয়েছে বৈঠক। তাতে যোগ দিয়েছেন দিল্লি থেকে আসা দলের পশ্চিমবঙ্গের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। বিবাদের জল্পনা উড়িয়ে হাজির হয়েছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও রাহুল সিনহাও।
মঙ্গলবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে দিলীপবাবু বলেন, পশ্চিমবঙ্গের ১৪০ আসনের সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে দিল্লিতে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু বিমান ও ট্রেন বন্ধ থাকায় বৈঠকে যেতে পারছিলেন না অনেকে। তাই বাকি ১৫৪টি আসনের সমীক্ষা কলকাতায় বসে করার সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো মঙ্গলবার থেকে বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ হাওড়া ও উলুবেড়িয়া লোকসভা আসনের সমীক্ষা হয়েছে। পরে আরামবাগ ও শ্রীরামপুর আসনের সমীক্ষা হবে। চার – পাঁচদিন বৈঠক চলবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯, ২২, ২৩ ও ২৪ অগাস্ট বৈঠক হবে। বৈঠক হবে মূলত দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে। বুধবার হুগলি লোকসভা কেন্দ্র-সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার সমীক্ষা হতে পারে।
গোষ্ঠী কোন্দলের জল্পনা উড়িয়ে মঙ্গলবার দিলীপবাবুর বাসভবনের সামনে গাড়ি থেকে নামেন মুকুল রায়। পৌঁছন রাহুল সিনহাও। বৈঠকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় ও অরবিন্দ মেনন থাকলেও শিবপ্রসাদ যোগ দেননি বলে জানা গিয়েছে।
দিলীপবাবু বলেন, শিবপ্রসাদজির করোনা হয়েছিল। তবে সেরে উঠেছেন। তিনি কেন আসেননি সেটা তিনিই বলতে পারবেন। আমরা সবাইকে আমন্ত্রণ পাঠিয়েছি।
এদিন রাজ্য বিজেপি সভাপতি জানান, কোনও লোকসভা আসনের পর্যালোচনার সময় সেখানকার সাংসদ বা ২০১৯ এর নির্বাচনের প্রার্থীকে হাজির করার চেষ্টা চলছে। হাজির হতে না পারলে তার কাছে সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে রিপোর্ট চাওয়া হবে।
রাজ্যের বহু জায়গায় বিজেপি যে বুথ কমিটি তৈরি করতে পারেনি তা এদিন মেনে নেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত প্রত্যন্ত এলাকায় একটু সমস্যা হচ্ছে। সেখানকার মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করলেও হামলার ভয়ে কেউ দলের নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। তবে আমাদের বুথ কমিটির সংখ্যা তৃণমূলের চেয়ে বেশি।