বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া পরামর্শকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বৃহস্পতিবার কলকাতা লাগোয়া নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে দিলীপবাবু বলেন, উনি দলের কোনও পদে নেই। তবে কি রাজীবকে বিজেপিতে ধরে রাখার চেষ্টায় ইতি টানলেন দিলীপরা। উঠছে সেই প্রশ্নও।
বৃহস্পতিবার সকালে দিলীপবাবু বলেন, ‘কিছু কিছু লোক আছেন যারা ঠিক করতে পারছেন না কোথায় যাবেন, কী করবেন? উনি তো দলের কোনও পদাধিকারী নন।’
বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের কিছুক্ষণ আগে শুভেন্দু অধিকারীকে নাম না করে কড়া ভাষায় সমালোচনা করেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বিরোধী নেতাকে বলব…. যার নেতৃত্বে ও যাকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চেয়ে বাংলার মানুষ ২১৩টি আসনে তাঁর প্রার্থীদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন সেই মুখ্।মন্ত্রী অযথা আক্রমণ কনা করে সাধারণ মানুষের দুর্দশা মুক্তির জন্য পেট্রল, ডিজেল ও রান্নার গ্যাসের মূল্যহ্রাস করাই এখন একমাত্র লক্ষ্য হওয়া উচিত।’
বলে রাখি গত ৮ জুন একই রকম পোস্ট করেছিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও রাজ্য সরকারের সমালোচনা না করে দলীয় নেতৃত্বকে আত্মসমীক্ষার পরামর্শ দিয়েছিলেন। মুকুল রায় তৃণমূলে ফেরার পর থেকেই রাজীবের তৎপরতা বাড়ে। কখনো কুণাল ঘোষ, কখনও পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কখনও মুকুল রায়ের বাড়িতে নানা অছিলায় হাজির হন তিনি। যদিও বিজেপির কর্মসমিতির বৈঠকে দেখা যায়নি তাঁকে।
রাজীববাবুর সঙ্গে কুণাল ঘোষের সাক্ষাতের পর দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন ওনাকে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। এদিন তাঁর মন্তব্যে প্রশ্ন উঠছে, তবে কি সেই চেষ্টায় ইতি টানল বিজেপি?