বিধানসভা নির্বাচনের ভুল থেকে শিক্ষা নিল বিজেপি। দলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হল, টিকিট না পেয়ে কেউ তৃণমূল থেকে বিজেপিতে না এলে তাঁকে প্রার্থী করবে না তারা। শনিবার বিকেলে দলের রাজ্য সদর দফতরে এক সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, টাটকা মেয়র থাকতে কেন ফিরহাদ হাকিমকে মেয়র পদপ্রার্থী করতে ভয় পাচ্ছে তৃণমূল?
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘টিকিট না পেয়ে যদি কেউ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসেন তবে তাঁকে টিকিট দেবে না দল। আমাদের প্রার্থীতালিকা তৈরি হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি তা ঘোষণা করা হবে’। প্রার্থীতালিকা তৈরি হয়ে গিয়ে থাকলে কেন তা ঘোষণা করা হচ্ছে না তার জবাব অবশ্য দেননি শমীকবাবু।
তবে কি বিধানসভার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েছে বিজেপি? জবাবে শমীকবাবু বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও আমরা কিছু শিখতাম। হেরেছি বলেই শিখেছি এমনটা নয়।
এদিন শমীকবাবু বলেন, ‘তৃণমূল নতুনদের সুযোগ দেবে বলে জানিয়েছিল। জানিয়েছিল দলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু থাকবে। কিন্তু কলকাতা পুরসভা নির্বাচনে সেই পরিবারতন্ত্রে আস্থা রাখল তারা। এক ব্যক্তি এক পদ নীতিও মানা হল না। মানুষ যাদের প্রত্যাখ্যান করেছে চাপের মুখে তাদেরই প্রার্থী করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কলকাতায় পুরবোর্ড গঠন করবে বিজেপিই।’
তৃণমূল মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা না করাতেও তাদের কটাক্ষ করেছেন শমীকবাবু। তিনি বলেন, গত বিধানসভা নির্বাচনে আমরা মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ঘোষণা না করায় নানা প্রশ্ন করা হয়েছিল। এখন তৃণমূল তো মেয়র পদপ্রার্থী ঘোষণা করেনি। তাহলে প্রশ্ন উঠছে না কেন? আর তৃণমূলের হাতে যখন ফিরহাদ হাকিমের মতো টাটকা ও সফল মেয়র রয়েছেন।
এদিন হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে কলকাতা পুরভোট সংক্রান্ত বৈঠকে একাধিক নেতার অনুপস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, কেউ আসেনি মানেই সে তৃণমূলে চলে যাচ্ছে তেমনটা নয়। অনেকের অন্য কাজ রয়েছে। এদিনের বৈঠকে দেখা মেলেনি অর্জুন সিং ও রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়ের।