আঞ্চলিক ভাষাকে ধ্বংস করে দেওয়ার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুললেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে শিক্ষা সংক্রান্ত একটি অনুষ্ঠানে আঞ্চলিক ভাষার ওপর জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর মতে, উচ্চশিক্ষার জন্য যেমন ইংরেজি ভাষা শেখানো প্রয়োজন তেমনি বাংলা ভাষাও শেখাতে হবে। অন্য ভাষা জোর করে চাপিয়ে দেওয়া যাবে না। বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি রাজ্যের আঞ্চলিক এবং মাতৃভাষা ধ্বংস করার প্রচেষ্টার অভিযোগ তুলেছেন।
আরও পড়ুন: শহরে পরপর খুন, শেষমেশ গ্যাংস্টারকে কী ধরতে পারবে পুলিশ? আসছে ব্রাত্য বসুর হুব্বা
বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সে ষষ্ঠ বার্ষিক এডুকেশন কনক্লেভে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমি মনে করি ইংরেজি থাকা উচিত। হিন্দিও থাকতে পারে এবং একই সঙ্গে বাংলা, অসমীয়া, তামিল বা তেলেগুর মতো আঞ্চলিক ভাষাও থাকতে পারে। আঞ্চলিক ভাষার গুরুত্ব নষ্ট করা উচিত নয়।’ বিজেপির হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান এজেন্ডার নিন্দা করেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান চাপিয়ে দেওয়া বিজেপির একটি দীর্ঘমেয়াদী এজেন্ডা। কেউ হিন্দু হতে পারে। কিন্তু একজন ব্যক্তির পরিচয় তার মাতৃভাষার উপর নির্ভরশীল। এই মাতৃভাষাগুলিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ তিনি জানান, কেউ হিন্দু হতেই পারেন। কেউ হিন্দুস্তান বলতে পারেন বা হিন্দি বলতে পারেন। কিন্তু প্রত্যেক রাজ্যের নিজস্ব আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। সেটাকে ধ্বংস করার চেষ্টা ঠিক নয়।
এদিনের অনুষ্ঠানে বাংলা ভাষার উপর জোর দেওয়ার পাশাপাশি বাংলা থিয়েটার, বাংলা সিনেমা বাংলা সাহিত্যর উপরেও জোর দেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি জানান, বাংলাকে ধ্রুপদ ভাষা ঘোষণার জন্য ইতিমধ্যেই কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের এডুকেশন কমিটির চেয়ারম্যান সত্যম রায়চৌধুরী, রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি মণীশ জৈন এবং অন্যান্যরা। সত্যম রায়চৌধুরী জানান, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে স্পোর্টস, ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নতুন নতুন বিষয় এসেছে। এই সমস্ত বিষয়ে স্কুল পর্যায় থেকে শিক্ষা শুরু করা প্রয়োজন। তিনি আরও জানান, বর্তমানে শিক্ষা অনেকটাই প্রযুক্তির উপর নির্ভরশীল। মূলত প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে আরও কীভাবে উন্নত করা যায়? তার জন্যই এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল।