কোনও নাবালিকার ওপর গার্হস্থ্য হিংসার প্রেক্ষিতে গতকাল গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ করল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালত জানিয়ে দিল, কোনও নাবালিকা যদি ‘গার্হস্থ্য হিংসা থেকে নারী সুরক্ষা আইনে’র ১২ নং ধারার অধীনে মামলা দায়ের করে থাকে, তাহলে নির্যাতিতার আবেদন খারিজ করা যাবে না। বিচারপতি শম্পা দত্ত পাল একটি ফৌজদারি পুনর্বিবেচনা পিটিশনের প্রেক্ষিতে এই পর্যবেক্ষণ করেন। মামলায় আবেদনকারী মেয়ে তাঁর বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
এর আগে নিম্ন আদালতে সেই নাবালিকার আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছিল। নাবালিকার কোনও নিকটাত্মীয় বা প্রাপ্তবয়স্ক বন্ধু তাঁর হয়ে মামলা করেননি বলেই তা খারিজ হয়ে গিয়েছিল। তবে আবেদনকারী প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে গেলে সেই মামলাটিকে ‘রেগুলারাইজ’ করা হবে। এদিকে এই মামলায় অতিরিক্ত সেশন জাজ পরবর্তীতে নিম্ন আদালতের রায়কে বাতিল করে নতুন করে শুনানির জন্য বিষয়টি উত্থাপিত করা হয়েছিল। অতিরিক্ত সেশন জাজের সেই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেই উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল অভিযুক্ত।
অভিযুক্ত বাবার অভিযোগ, অতিরিক্ত সেশন জাজ মামলাটির শুনানির নির্দেশ দিয়ে ভুল করেছেন। কারণ আইনত কোনও অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিযোগ করলে তার হয়ে কোনও প্রাপ্তবয়স্ককে মামলার আবেদন করতে হয়। যদিও হাই কোর্টের বিচারপতি দত্ত পর্যবেক্ষণ করেন যে আদালতের দায়িত্ব মহিলাদের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা। বিচারপতি বলেন, মহিলারা যাতে পারিবারিক সহিংসতার শিকার না হয় তা নিশ্চিত করতে হবে আদালতকেই। এই আবহে হিংসার ঘটনায় অভিযুক্ত বাবার দায়ের করা আবেদন খারিজ করে দেয় উচ্চ আদালত। পাশাপাশি নিম্ন আদালতের ম্যাজিস্ট্রের প্রথমে মামলা খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের গাইডলাইন লঙ্ঘন করেছে বলেও উল্লেখ করেন হাই কোর্টের বিচারপতি। এদিকে সেশন জাজ মামলাটি শুনানির অনুমতি দিয়ে ঠিক করেছেন।