সন্দেশখালির মহিলাদের ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য করেছিলেন রেখা শর্মা। জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের নেতারা দাবি করেছেন, সন্দেশখালির এক মহিলা স্বীকার করে নিয়েছেন যে সাদা কাগজে সই করিয়ে নিয়েছিলেন। সেই অভিযোগে রেখার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের দাবি তুলেছেন তৃণমূল নেতারা। যদিও বিষয়টি নিয়ে আপাতত কোনও মন্তব্য করেননি জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন।
শুক্রবার সকালে তৃণমূলের রাজ্যপালের সাংসদ সাকেত গোখলে বলেন, 'সন্দেশখালির মহিলারা এবার অভিযোগ করলেন যে সাদা কাগজে সই করতে এবং ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগ করতে বাধ্য করেছিলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। এই তথাকথিত প্রতিষ্ঠানের লজ্জা হওয়া উচিত, যেটিকে বিজেপির শাখায় পরিণত করেছেন রেখা শর্মা। এটা জঘন্য বিষয় যে রাজনৈতিক স্বার্থে ভুয়ো ধর্ষণের ঘটনা ছড়াচ্ছে জাতীয় মহিলা কমিশন।' সেইসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জঘন্য অপরাধের রেখা শর্মার বিরুদ্ধে মামলা করা উচিত।’
একইসুরে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের অপর রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ এবং রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী শশী পাঁজা। রাজ্যের মন্ত্রী দাবি করেছেন, সন্দেশখালির মহিলা বলেছেন যে জাতীয় মহিলা কমিশন এসে জোর করে অভিযোগ লিখিয়েছেন। রাজনৈতিক সিগন্যাল পেয়ে সন্দেশখালিতে এসে উস্কানি দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেও তৃণমূল নির্বাচন কমিশনে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন শশী। তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘এবার তাঁর দুর্ভাগ্য শুরু হবে।’
'সন্দেশখালির' মহিলা কী অভিযোগ করেছেন?
আর যে ভিডিয়োর (সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা) প্রেক্ষিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন, তাতে এক মহিলাকে (যিনি সন্দেশখালির মহিলা বলে দাবি করা হয়েছে) বলতে শোনা গিয়েছে, ‘রেখা শর্মা সেদিন এসেছিল। সেদিন বলছিল যে কার কার অভিযোগ আছে, সেটা বলতে হবে। সেই অভিযোগ করার পরে একটা সাদা কাগজ দিল। সাদা কাগজে সই করতে হবে। সেই কাগজে সই করে দিয়ে চলে গেলাম বাড়িতে। তারপরে চার-পাঁচদিন পরে একটি নোটিশ যায়। নোটিশ যাওয়ার পরে জানতে পারি যে আমরা কেস করেছি। ধর্ষণের কেস করেছি। যেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাদের মধ্যে ঘটেনি। ষড়যন্ত্র করে আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করেছে।’
আরও পড়ুন: Sandeshkhali Update: ‘আগুন ছাড়া ধোঁয়া হয় না,’ সন্দেশখালি নিয়ে পালে হাওয়া তুললেন বিজেপি নেত্রী