সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সন্দেশখালি মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে আজ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। আজ, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টের মধ্যে শেখ শাহজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শেখ শাহজাহান এখন সিআইডি হেফাজতে আছেন। মিনাখাঁ থেকে তাকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তারপর সিআইডির হাতে তুলে দেয় তদন্তের স্বার্থে। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে সন্দেশখালি নিয়ে সিবিআই তদন্ত বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে সন্দেশখালিতে ইডি অফিসারদের বেধড়ক মারধর এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা নেমে আসার ঘটনায় ন্যাজাট থানায় দুটি এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এছাড়া বনগাঁ থানায় আরও একটি এফআইআর দায়ের হয়। ওইসব মিলিয়ে তিনটি মামলার তদন্তভারই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ইস্যুতে বিরোধীরা খানিকটা অক্সিজেন পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ায় খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে সন্দেশখালিতে। এখন আর সেখানে অশান্তির বাতাবরণ নেই। আজ, মঙ্গলবার শেখ শাহজাহানকে হস্তান্তর করতে হবে সিবিআইয়ের হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হিংসামুক্ত নির্বাচন নিশ্চিত করতে হবে’, একগুচ্ছ গাইডলাইন দিয়ে কড়া নির্দেশ মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের
অন্যদিকে শেখ শাহাজাহানকে গত বৃহস্পতিবার মিনাখাঁর বামনপুকুর থেকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। তারপর গোটা অপারেশন নিয়ে সংবাদমাধ্যমে জানান পুলিশকর্তা সুপ্রতিম সরকার। আর শাহজাহানকে সিআইডির হেফাজতে তুলে দেওয়া হয়। কিন্তু শাহজাহানকে গ্রেফতারের দিনই ইডি জানিয়ে দিয়েছিল, তারা দ্রুত শেখ শাহজাহানের হেফাজত চাইবে। এমনকী ইডি শুরু থেকে দাবি করে এসেছে যে, তাদের উপর হামলার ঘটনার তদন্ত যেন রাজ্য পুলিশকে দিয়ে না করানো হয়। সিবিআই ও রাজ্য পুলিশকে নিয়ে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠনের ক্ষেত্রেও তাদের ভরসা দেখা যায়নি। কারণ, রাজ্য পুলিশ সহযোগিতার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন ইডি অফিসাররা।
এছাড়া এই বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টে জানায় ইডি। সেক্ষেত্রে ইডির দাবি মেনে নিয়ে শেখ শাহাজাহানকে সিবিআইয়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট বলাই যায়। সন্দেশখালি কাণ্ড নিয়ে শুরু থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি করছে রাজ্যে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও বলেন, ‘সন্দেশখালি কাণ্ডে সিবিআই তদন্তই হওয়া উচিত।’