বিদেশে যাননি। তারপরও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন কলকাতা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের এক ইন্টার্ন। তার জেরে স্বভাবতই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কীভাবে সংক্রমিত হলেন ওই ইন্টার্ন? তাহলে কি কলকাতায় ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়েছে?
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা করোনাভাইরাসের নয়া প্রজাতি ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বিদেশ যাত্রার ইতিহাস আছে। কিন্তু নদিয়ার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা ওই ইন্টার্ন কখন বিদেশ যাননি। বিশেষজ্ঞদের মতে, তবে ওই জুনিয়র ডাক্তার কোনও বিদেশ ফেরত ব্যক্তির সংস্পর্শে এসেছিলেন কিনা, তা দেখতে হবে। যদি সেটাই হয়ে থাকে, তাহলে অবিলম্বে চিহ্নিত করতে হবে ওই বিদেশ ফেরত ব্যক্তিকে। পাশাপাশি ওই জুনিয়র ডাক্তারের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছিলেন, তাঁদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে করোনা পরীক্ষা করতে হবে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ নেই বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের মতে, আপাতত রাজ্যে আরটি-পিসিআর পরীক্ষা এবং জিনোম সিকোয়েন্সিং বাড়াতে হবে। সেইসঙ্গে সাধারণ মানুষকে নিতে হবে করোনা টিকা। মেনে চলতে হবে করোনা বিধি। বিশেষত বড়দিন এবং নববর্ষের সময় আমজনতাকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তারইমধ্যে সংবাদসংস্থা পিটিআইকে দক্ষিণ আফ্রিকার বিশেষজ্ঞ অ্যাঞ্জেলিক কোটজে জানান, ভারতে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার মতোই সংক্রমণ হালকা থেকে মাঝারি হবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। যিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রথম করোনার নয়া প্রজাতিকে চিহ্নিত করেন। তিনি বলেন, 'ওমিক্রনের ফলে ভারতেও করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়বে। ক্রমশ সংক্রমণের হারও বাড়বে। তবে আশা করা হচ্ছে যে দক্ষিণ আফ্রিকার মতো ভারতেও অধিকাংশ করোনা আক্রান্তের উপসর্গ হালকা থেকে মাঝারি হবে।' সেইসঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপার্সন জানিয়েছেন, আপাতত যে টিকাগুলি প্রদান করা হচ্ছে, সেগুলি নিঃসন্দেহে ওমিক্রনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে যাঁরা টিকা নেননি, তাঁদের ক্ষেত্রে ঝুঁকির মাত্রা ১০০ শতাংশ।