স্কুলে অবৈধভাবে নিয়োগ প্রমাণিত হলে যারা নিয়ম ভেঙে চাকরি পেয়েছিলেন তাদের কি জেরা করতে পারবে ED বা CBI? ভুয়ো চাকরিপ্রাপকদের দায়ের করা এক মামলায় এই প্রশ্ন তুললেন বিচারপতি দেবাংশু বসাক। বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে দুর্নীতির যাবতীয় দায় কমিশন ও শাসকদলের নেতা - মন্ত্রীদের দিকে ঠেলার চেষ্টা করেন মামলাকারীদের আইনজীবী।
এদিন আদালতে মামলাকারীদের আইনজীবী তথা রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রশ্ন তোলেন, কলকাতা থেকে নয়েডা পর্যন্ত SSC-র OMR শিট কি স্কুল সার্ভিস কমিশনের পাহারায় গিয়েছিল? তা না হয়ে থাকলে মাঝপথে যে ওএমআর শিট বদল হয়ে যায়নি তার নিশ্চয়তা কই। তাছাড়া এই দুর্নীতির ব্যাপারে কিছুই জানেন না চাকরিপ্রাপকরা। দুর্নীতির নিয়ন্ত্রণ করেছেন যারা টাকা নিয়েছে তারা।
জয়ন্তবাবু বলেন, নয়েডা থেকে পঙ্কজ বনসল বলে একজনকে গ্রেফতার করা হল। কয়েকটা হার্ড ডিস্ক উদ্ধার হল আর মামলাকারীদের চাকরি চলে গেল? সেই নির্দেশে আবার স্থগিতাদেশ দিল সর্বোচ্চ আদালত। এতে মামলাকারীদের মানহানি হয়েছে। স্কুলে তাদের সন্দেহের চোখে দেখা হচ্ছে। জয়ন্তবাবু বলেন, নিয়োগ অবৈধ প্রমাণিত হলে সেই মুহূর্তে চাকরিতে ইস্তফা দেবেন চাকরিপ্রাপকরা।
এর পরই বিচারপতি বসাক প্রশ্ন করেন, অভিযুক্তরা সত্যিই ভুয়ো প্রমাণিত হলে কি তাদের হেফাজতে নিয়ে জেরা করতে পারবে ED বা CBI? শুক্রবার সকালে ফের হাইকোর্টে শুরু হবে এই মামলার শুনানি।
আইনজ্ঞদের মতে, নিয়োগ সত্যিই ভুয়ো প্রমাণিত হলে শাস্তির মুখে পড়তে পারেন ভুয়ো শিক্ষকরাও। তাই আগে ভাগে দুর্নীতির দায় সরকার ও শাসকদলের নেতাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে তারা।
বুধবার এক পর্যবেক্ষণে আদালত জানায়, আন্দোনকারীরা ছুরির যে প্রান্তে রয়েছেন তার ধার অনেক বেশি। সেই সঙ্গেই যাঁরা রাস্তায় বসে রয়েছেন, যাঁদের চাকরি নেই তাঁদের কথাও ভেবে দেখার পরামর্শ দেয় হাইকোর্ট।