সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ। আর তাদের মূল কাজ হল বাইক রেসিং নিয়ে লাইভ করা। ইকো পার্কের কাছে একটা দুর্ঘটনার পরে তদন্ত নেমে বিস্ফোরক কিছু তথ্য় সামনে এসেছে। সেই দুর্ঘটনায় জানা গিয়েছিল, তিনটি গাড়ির মধ্যে রেষারেষি চলছিল। প্রায় ১৪০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে রবিবারের সকালে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। একজন বাইক আরোহী সহ পাঁচটি গাড়িকে ধাক্কা দিয়েছিল এক বেপরোয়া গাড়ি। আইনত গতিবেগের তুলনায় অন্তত পাঁচগুণ গতিতে গাড়ি চালানো হচ্ছিল বলে অভিযোগ।
এদিকে টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে খবর, ঝড়ের বেগে গাড়ি চালানো হচ্ছিল। গাড়ির উপর কোনও নিয়ন্ত্রণ ছিল না ১৭ বছরের ওই নাবালকের। আসলে ফান রাইডে বেরিয়েছিল ওই নাবালক। অন্তত তিনটি কার সেদিন প্রতিযোগিতায় নেমেছিল। গাড়িতে প্রচন্ড জোরে গান বাজছিল। আর সেই সঙ্গে চলছিল রেস। সেই রেসের লাইভ সম্প্রচার হচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। খবর এমনটাই।
সূত্রের খবর, ওই নাবালকের বাড়ি হাওড়ার বালিতে। সে তার বাবার গাড়ি নিয়ে বেরিয়েছিল। তার লাইসেন্সের বালাই ছিল না। তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তাকে সোমবার সল্ট লেকের জুভেনাইল কোর্টে তোলা হয়েছিল। তাকে ১৪ দিনের হেফাজতে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পুলিশ আধিকারিকদের মতে, ইকো পার্কের ১-২ গেটের মধ্যে গাড়ির স্পিড প্রচন্ড বৃদ্ধি করা হয়। প্রতিদিন এই এলাকায় অন্তত ১০০টি গাড়ির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় পুলিশ।
এদিকে গাড়ির ধাক্কায় জখম হয়েছিলেন বাইক আরোহী চিত্তরঞ্জন মণ্ডল। তার অবস্থা ক্রমেই বিগড়ে যাচ্ছে। তাকে একটি বেসরসারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সূত্রের খবর, তাঁর মাথায় যে হেলমেটটি ছিল সেটার মান খুব ভালো। সেকারণে তার মাথাটি বেঁচে গিয়েছে। তবে শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তবে এবার ইকো পার্কের ১-২ গেটের মধ্যে স্পিড গান বসাচ্ছে পুলিশ। এর মাধ্যমে বেপরোয়া গাড়ির গতি মাপা হবে। সেই অনুসারে ব্যবস্থা। রাতে ও ভোরের দিকে এই গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণে বিশেষ নজরদারি করা হবে। তবে ইকো পার্কে কাছে ওই গাড়ির রেস ভাবাচ্ছে পুলিশকে।