নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর মানসিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। ইডিকে রিপোর্ট দিয়ে একথা জানাল SSKM কর্তৃপক্ষ। যদিও SSKMএর এই রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি। আদালতের নির্দেশে বলীয়ান কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা চলতি সপ্তাহেই সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে চান।
গত ৩০ মে ইডির হাতে গ্রেফতার হন সুজয়কৃষ্ণ। তার আগে কাকুঘনিষ্ঠ হাওড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। তদন্তকারীদের দাবি, এই যুবকের মাধ্যমেই নিয়োগ দুর্নীতির টাকা লেনদেন করতেন সুজয়। ওই যুবকের ফোন থেকে একটি কল রেকর্ডিং পাওয়া যায়। যাতে সুজয়কৃষ্ণকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘ফোন থেকে সমস্ত তথ্য মুছে ফেলো।’ সেই বক্তব্য কাকুরই কি না তা জানতে গত ৬ মাস ধরে তাঁর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের চেষ্টা করে যাচ্ছে ইডি। ওদিকে শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সুজয়কৃষ্ণকে SSKM হাসপাতালে ভর্তি করে রেখেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
আদালতের নির্দেশে গত মাসে ২ বার কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে SSKMএ যান ইডির আধিকারিকরা। কিন্তু তাঁদের সুজয়কৃষ্ণের ধারে কাছে পৌঁছতে দেয়নি SSKM কর্তৃপক্ষ। এর পর গত শনিবার ইডির তরফে আদালতে আবেদন করা হয়, জোকা ESI হাসপাতালের চিকিৎসকদের দিয়ে কালীঘাটের কাকুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে তাঁর কণ্ঠস্বরের নুমনা সংগ্রহ করতে চায় ইডি। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আদালত।
ইডি সূত্রে খবর, সেই নির্দেশ হাতে পেয়েই সোমবার ছুটির দিনেও কাকুর কণ্ঠস্বর সংগ্রহে তৎপর হয়েছেন তদন্তকারীরা। আদালতের নির্দেশের কথা জানিয়ে SSKM কর্তৃপক্ষ, জোকা ESI হাসপাতাল ও CFSLকে চিঠি পাঠিয়েছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চলতি সপ্তাহেই নমুনা সংগ্রহের প্রক্রিয়া শেষ করতে চান তাঁরা।
ওদিকে এরই মধ্যে ED-র কাছে পৌঁছেছে কালীঘাটের কাকুর মেডিক্যাল রিপোর্ট। SSKMএর তরফে পাঠানো সেই রিপোর্টে সুজয়কৃষ্ণের মানসিক স্থিতাবস্থা নেই বলে জানানো হয়েছে। জানানো হয়েছে, মনোবিদ তাঁর চিকিৎসা করছেন। তবে SSKMএর এই রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি। তাদের দাবি, পরিকল্পিত ভাবে তদন্ত বিলম্বিত করতে এই কাজ করা হচ্ছে।