আজ, বুধবার কলকাতায় এলেন সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদ। বেশ কিছু তদন্ত গতি পাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এবার সেইসব তদন্ত কি গতি পাবে? উঠছে প্রশ্ন। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত থেকে শুরু করে গরু–কয়লা পাচার সব তদন্ত কোন পথে এগোবে এবং রুট ম্যাপ কী হবে? তার স্ট্র্যাটেজি বাতলে দেবেন নতুন সিবিআই ডিরেক্টর বলে সূত্রের খবর। দু’দিন আগেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন জয়েন্ট ডিরেক্টর। আর আজ সকালে সিবিআই ডিরেক্টর প্রবীণ সুদ কলকাতায় পা রেখেই ঢুকে পড়েন নিজাম প্যালেসে।
এদিকে আজ নিজাম প্যালেসে ঢুকেই তিনি সিবিআই দফতরে যান। তারপর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত যে সমস্ত অফিসাররা করছেন তাঁদের তিনি ডেকে পাঠান। আর তা নিয়ে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠক ডাকেন। কেন হঠাৎ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসলেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। সিবিআইয়ের নতুন ডিরেক্টর আসলে তদন্ত প্রক্রিয়ায় কোথায় ফাঁক আছে সেটা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে বলে সূত্রের খবর। রাজ্যের একাধিক দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই–ইডি। কিন্তু নানা ফাঁক থাকায় কলকাতা হাইকোর্টে ভর্ৎসিত হতে হচ্ছে সিবিআই–ইডিকে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা সিবিআই আইনজীবীর কাছে জানতে চান, ‘তদন্ত প্রক্রিয়া কি অনন্তকাল ধরে চলবে?’ তাতে বেশ বেকায়দায় পড়ে যান তাঁরা।
অন্যদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কিছুই যদি প্রমাণ করা না যায় তাহলে জনমানসে ইডি–সিবিআইয়ের উপর ভরসা কমে যাবে। তাই তদন্তে গতি এনে আরও কয়েকজনকে শ্রীঘরে পাঠাতে চাইছেন সিবিআই শীর্ষ কর্তা। সিবিআই সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআইয়ের ডিরেক্টরকে বদলি করা হয়েছে। নতুন ডিরেক্টর হিসেবে প্রবীণ সুদ কাজে যোগ দিলেন। নিয়োগ দুর্নীতির পাশাপাশি গরু পাচার, কয়লা পাচার, এবং পোস্টিং দুর্নীতির তদন্তে গতি চান সিবিআই কর্তা। তাই আজ কলকাতায় এসে এসব স্ট্র্যাটেজি তৈরি করে দিতে চান তিনি।
আরও পড়ুন: এবার ‘মেডিকেটেড মশারি’ বিলি করার সিদ্ধান্ত নিল কলকাতা পুরসভা, ডেঙ্গি রোধে পদক্ষেপ
তাহলে নতুন কোনও পরিবর্তন দেখা যাবে? ইতিমধ্যেই নানা দুর্নীতির তদন্তে নেমে তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েকজন নেতা এবং একজন মন্ত্রীকে জেলে পাঠানো গিয়েছে। এবার নতুন করে ঘুঁটি সাজানো হচ্ছে। এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সম্পর্ক সভা’। সূত্রের খবর, তদন্ত যে পর্যায়ে পৌঁছেছে সেখান থেকে আজ আলোচনা শুরু হয়। তদন্তের সঙ্গে যুক্ত অফিসারদের সঙ্গেও আলাপ করেন নয়া ডিরেক্টর। তাই এদিনের বৈঠকে তদন্তে গতি আনতেই করা হয়েছে। আজ কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পর সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে এই দুঁদে আইপিএসের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ‘শুনেছি এখানকার দই খুব সুস্বাদু। মিষ্টি দই খেতে এসেছি।’