আদি–নব্যের ঝামেলায় সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে বঙ্গ–বিজেপির। তার জেরে একের পর এক নির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে। বাংলায় এখন ‘হেরো পার্টিতে’ পরিণত হয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে চরম বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতারা। তাই অবিলম্বে বাংলায় বিজেপির সংগঠনে বড়সড় রদবদলের কথা ভাবা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? বিজেপি সূত্রে খবর, একের পর এক পরাজয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বেজায় চটেছেন। এই পরিস্থিতিতে রদবদলের পদক্ষেপের দিকে এগোতে চান জেপি নড্ডা এবং বিএল সন্তোষরা। অবস্থা বেগতিক দেখে বিজেপির বঙ্গ–নেতারা এখন নানা কর্মসূচিতে নেমেছেন। আজই সিঙ্গুর থেকে শুরু করে এরপর নানা কর্মসূচি করা হবে। যদি এই রদবদল ঠেকানো যায়।
কেমন পদক্ষেপ করা হচ্ছে? এই পরিস্থিতির মধ্যেই অমিত শাহ কলকাতায় আসছেন। কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব মনে করছেন তাদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। তাই রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন)–এর পদ থেকে অমিতাভ চক্রবর্তীকে ইস্তফা দিতে বলা হবে। সেখানে আবার সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে আনার কথা ভাবা হচ্ছে। এমমকী রাজ্য সভাপতি পদে আবার দিলীপ ঘোষকে ফেরানো যায় কি না তা নিয়েও আলোতনা শুরু হয়েছে। কারণ, সুকান্ত মজুমদার ভাল ভাবমূর্তির অধ্যাপক হলেও সংগঠক হিসাবে ব্যর্থ।
আর কী হতে চলেছে? সূত্রের খবর, বিরোধী দলনেতার পদে অশোক লাহিড়ীকে নিয়ে এসে শুভেন্দুকে সরিয়ে দেওয়া হবে। দিল্লির নেতারা মনে করছেন, শুভেন্দু মুখে বলেন বেশি। কিন্তু রেজাল্ট দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তবে শুভেন্দুকে সতর্ক করে আরও কিছুদিন সময় দেওয়া হতে পারে। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলী এবং রাজ্য কমিটিতেও বদল আসবে। এবার লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, সৌরভ শিকদার, সায়ন্তন বসু, রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবজিৎ সরকার, রীতেশ তিওয়ারিদের ফোরফ্রন্টে নিয়ে আসা হবে। আসলে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে যাঁরা পদ্ম ফোটাতে পেরেছিল তাঁদের কাজে ফেরানো হোক।